বিজয় দিবসে পতাকা ওড়াতে গড়িমসি নাসিরনগরের সরকারি ৬ অফিসে
অপরাধ তথ্যচিত্র ডেস্ক: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে মহান বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে নির্ধারিত সময়ে জাতীয় পতাকা ওড়াতে দেখা যায়নি সরকারি ছয় অফিসে। যদিও স্বাধীনতার ৫০ বছর উপলক্ষে এ বছর অন্য সময়ের থেকে দিবসটি ছিল বেশি গুরুত্বপূর্ণ।জাতীয় দিবসে জাতীয় পতাকা নিয়ে এমন অবহেলা দেখিয়েছে উপজেলা কৃষি অফিস, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস, প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, যুব উন্নয়ন অফিস, হিসাবরক্ষণ অফিস ও খাদ্য অফিস। সরেজমিনে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পশ্চিম পাশে অবস্থিত ছয়টি অফিস-সংবলিত ভবনে জাতীয় পতাকার স্ট্যান্ডে কোনো পতাকা উড়তে দেখা যায়নি। অথচ জাতীয় দিবসগুলোতে সরকারি দপ্তরগুলোতে সকাল ৮টা থেকে পতাকা ওড়ানোর বিধান রয়েছে। পতাকা না থাকার বিষয়ে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে তড়িঘড়ি করে দুপুর ১২টার দিকে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একজন পিয়নকে পতাকা ওড়াতে দেখা যায়।এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ইকবাল মিয়া বলেন, সব অফিস মিলে এই ভবনে একটি পতাকা ওড়ানো হয়। আলাদা করে পতাকা ওড়ানোর কোনো নির্দেশনা নেই। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সাঈদ তারেক এ সময় বলেন, পতাকা আনা হয়েছে। এখনই লাগানো হবে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি কর্মকর্তা বলেন, ‘সব সময় দিবসগুলোতে এখানে পতাকা ওড়ানো হয়। কিন্তু আজ কেন ওড়ানো হয়নি, তা বুঝতে পারছি না।’ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজহারুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘পতাকা তো ওড়ানোর কথা। তারপরও খোঁজ নিয়ে জানাচ্ছি।’ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেহেদি হাসান খান শাওন বলেন, ‘প্রতিটি ভবনে জাতীয় দিবসে পতাকা থাকবে। নিয়ম অনুযায়ী ওই ভবনেও একটি পতাকা থাকার কথা।’ বীর মুক্তিযোদ্ধা নায়েক (অব.) এ কে এম শামসুল হক বলেন, এই দিনে এমন অবহেলা মেনে নেওয়া খুবই কষ্টদায়ক। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হালিমা খাতুন বিষয়টি সম্পর্কে অবগত জানিয়ে বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। জাতীয় পতাকা যাতে ওড়ানো হয়, সে ব্যাপারে আগে থেকেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।’