খুলনায় সাবেক ওসি ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের মামলা
অপরাধ তথ্যচিত্র ডেস্ক: খুলনার বটিয়াঘাটা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু বকর সিদ্দিক ও তার স্ত্রী সুলতানা রাজিয়া পারুলের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুদকের খুলনার উপ-সহকারী পরিচালক মো. আল আমীন বাদী হয়ে মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদক খুলনার উপ-পরিচালক নাজমুল হাসান।
জানা গেছে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আয়, তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অর্থ-সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ মামলা দায়ের করেছে দুদক। আবু বকর সিদ্দিক বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা জেলা ডিএসবি’র পুলিশ পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি নগরীর সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা। তবে, গ্রামের বাড়ি বাগেরহাট জেলার চুলকাঠি এলাকায়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৭ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু বকর সিদ্দিক দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৮ লাখ ৬৯ হাজার ১৫৬ টাকার সম্পদ ও তথ্য গোপন করেন। এছাড়া তার আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৩৩ লাখ ৮৫৯ টাকার সম্পদ নিজ মালিকানা ও ভোগ দখলে রেখে এবং সরকারি চাকরিতে থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে ২১ লাখ ৭০ হাজার টাকার সম্পদ স্ত্রীর নামে দান দেখিয়ে বৈধ করার চেষ্টা করেন। এই অপরাধে দুদক ২০০৪ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
এছাড়া একই ধারায় অপর মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে তার স্ত্রী সুলতানা রাজিয়া পারুলকে এবং ২নম্বর আসামি করা হয়েছে স্বামী সাবেক শেখ আবু বকর সিদ্দিককে।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০০০ সাল থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে স্ত্রী পারুল দুদকের সম্পদ বিবরণীতে ১৬ লাখ ৬৫ হাজার ৯০২ টাকার তথ্য গোপনসহ ১ কোটি ১ লাখ ২৯ হাজার ৯৫৯ টাকা আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন এবং স্বামী আবু বকর কর্তৃক ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৬৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা তার দান হিসেবে গ্রহণ এবং ঠিকাদারি ব্যবসার মাধ্যমে আয় দেখিয়ে বৈধ করার চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুদক, খুলনার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে উপ-পরিচালক নাজমুল হাসান বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে মামলা দুটি দায়ের করা হয়েছে। তবে, এ মামলায় এখনও কাউকে আটক করা হয়নি।