পৌর আওয়ামীলীগ থেকে বহিস্কৃত কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার পুত্র দিলনেওয়াজ খানের পক্ষে সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতির বিতর্কিত বর্ধিত সভা।
মোতালেব হোসেন : ভাইজান খ্যাত শ্রমিক নেতা, সরকারী সম্পদ আত্মসাৎকারী, দূর্নীতিবাজ, স্বঘোষিত রেল ভূমিদস্যু বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মোকছেদুল মোমিনের প্রত্যক্ষ মদদে সৈয়দপুর ছাত্রলীগ এ স্থান পায় ৭১এর কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার নইম গুন্ডার পুত্র দিলনেওয়াজ খান। তারই হাত ধরে টাকার বিনিময়ে দিনে দিনে বাড়তে থাকে তার পদ পদবী। ধীরে ধীরে কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী রাজাকার পুত্র দিল নেওয়াজ খান রাজনীতিকে ব্যবহার করে চাঁদাবাজী থেকে শুরু করে টেন্ডারবাজী, মাড়োয়ারীর বাড়ি দখল, মাদক ব্যবসার সিন্ডিকেট, রেলের জমি, কোয়ার্টার দখল, নারী কেলেঙ্কারীসহ নানান কুকর্ম করতে থাকে। এরই মধ্যে সে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে চালাতে থাকে তার অপকর্মের সা¤্রাজ্য। ফলে তার বিরুদ্ধে একের পর এক বিভিন্ন অভিযোগ আসতে শুরু করে সৈয়দপুর আওয়ামীলীগে। কিন্তু রেলের এক শ্রমিক নেতার প্রত্যক্ষ মদদে সে চালিয়ে যেতে থাকে তার রাজনৈতিক হাতিয়ারের ব্যবহার।
তৃনমূল আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পরিবারের প্রতি তার ঔদ্ধত্য ব্যবহার বাড়তে শুরু করায় তাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করার জন্য গত বৃহস্পতিবার ৯ই সেপ্টেম্বর রাত ৮টায় সৈয়দপুর আদিবা কনভেনশন সেন্টারে পৌর আওয়ামীলীগের আহব্বানে একটি মত বিনিময় সভার আয়োজন করেন। মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি জনাবা রাবেয়া আলীম, বিশেষ অতিথি ছিলেন জনাব মহসিনুল হক মহসিন, সাধারন সম্পাদক উপজেলা আওয়ামীলীগ, জনাব শাহজান সরকার বাবুল, সহ-সভাপতি পৌর আওয়ামীলীগ, ইঞ্জিনিয়ার রাশেদুজ্জামান রাশেদসহ স্থানীয় নের্তৃবৃন্দ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ। বক্তব্যে সকল বক্তাগণ যুদ্ধাপরাধীর সন্তান দিলনেওয়াজ খানকে দল থেকে বহিস্কার ও পাশাপাশি তার পৃষ্ঠপোষক উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোকছেদুল মোমিনকে সতর্ক করে বলেন বেশি বাড়াবাড়ি করলে আপনার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তারই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৪ই সেপ্টেম্বর স্থানীয় পুলিশ ক্লাবে সৈয়দপুরের ভাইজান খ্যাত কুখ্যাত ভূমিদস্যু মোকছেদুল মোমিন রাজাকার পুত্রের পক্ষে ষ্পষ্ট অবস্থান গ্রহন করে উপজেলা আওয়ামীলীগের একটি বিতর্কিত বর্ধিত সভার আয়োজন করে। উক্ত বিতর্কিত অসাংগঠনিক নিয়ম বহির্ভূত বর্ধিত সভায় দলের উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক উপস্থিত না থাকলেও তার অনুমতি ব্যতিরেকে সভার আয়োজন করে যুদ্ধাপরাধীর পুত্রের প্রধান অবলম্বন হিসাবে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন, যাতে এটিই ষ্পষ্ট হয় যে ৭১এর যুদ্ধাপরাধীর উত্তর সূরী এই নতুন রাজাকার দলে ভাঙ্গন সৃষ্টির উদ্দ্যেশেই এই সভার আয়োজন করেন। সভায় উল্ল্যেখ যোগ্য কোন নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন না। যারা ছিলো তারা বেশীরভাগই রেল ভূমিদস্যু, দূর্নীতিবাজ এবং টাকা দিয়ে ভাড়া করা লোক।
এব্যাপারে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মমতাজুল হকের কাছে স্বশরীরে হাজির হয়ে সভাপতির একক ক্ষমতাবলে বর্ধিত সভা ডাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন তিনি একাই কোনো বর্ধিত সভা ডাকতে পারেন না অতএব এই সভার কোনো বৈধতা নেই।