ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধির উৎপাতে অসহায় রোগীরা

অপরাধ তথ্যচিত্র ডেক্স: কক্সবাজার সদর হাসপাতাল, প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডাক্তারের চেম্বার গুলোতে ভিড় লেগে থাকে মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভদের (এমআর)। ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র (প্রেসক্রিপশন) নিয়ে রোগী বের হতে না হতেই ঘিরে ধরেন বিক্রয় প্রতিনিধিরা। কোলে বাচ্চা, এক হাতে ব্যাগ এবং আর এক হাতে প্রেসক্রিপশন নিয়ে নারী রোগী বেচারি ওষুধের দোকানে ছুটছেন-কিন্তু ততক্ষণে তাকে পথ আগলে ধরেন প্রতিনিধিরা। সেই প্রেসক্রিপশনে সংশ্লিষ্ট ডাক্তার কোম্পানির ওষুধটি লিখলেন কিনা-তিনি কথা রাখলেন কিনা সেটাই তদারক করেন প্রতিনিধিরা। এরকম বিব্রতকর অবস্থা সবগুলো হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডাক্তারদের চেম্বারে চেম্বারেই বিরাজমান। হাসপাতালগুলোতে দিনের বেলায় গিজ গিজ করে বিক্রয় প্রতিনিধিরা। তারা হাসপাতাল থেকে বের হয়ে আসা রোগীদের ঘিরে ধরে প্রেসক্রিপশনগুলোর ছবি নেয়ার কাজ করে থাকেন। এ সময় অসহায় রোগীদের করার কিছুই থাকে না।সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের উত্তর গেইটে প্রতিনিধিরা এরকম রোগী আটকিয়ে প্রেসক্রিপশনের ছবি নেয়ার ছবি ধারণ করা হয়।খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, কিছুকাল আগেও সারাদেশে ওষুধ কোম্পানির সংখ্যা ছিল বড় জোর ৫০/৬০টি। কিন্তু এখন কয়েকশ ওষুধ কোম্পানি। এসব কোম্পানির প্রতিনিধির সংখ্যাও অগণিত। আবার কোম্পানিগুলো বেশি রোজগারের জন্য তাদের উৎপাদিত ওষুধের বিক্রি বাড়াতে প্রতিনিধি সাপ্তাহিক ও মাসিক টার্গেট দিয়ে থাকে। তাই কোম্পানির টার্গেট পূরণের জন্য প্রতিনিধিরা তৎপর থাকেন।অভিযোগ উঠেছে, কোম্পানীগুলো তাদের উৎপাদিত ঔষধের মান যাই হোক সেটা চিন্তা করে না। উল্টো বেশী মুনাফার জন্য কোম্পানিগুলো ডাক্তারদের ওপর প্রভাব খাটাতে ব্যস্ত থাকে যাতে স্ব স্ব উৎপাদিত ওষুধ রোগীদের প্রয়োগ করার জন্য। বিশেষ করে অখ্যাত ওষুধ কোম্পানিগুলো এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি তৎপর থাকে। তারা তাদের নিম্নমান উৎপাদিত ওষুধ বিক্রির জন্য অসাধুতার পর্যায়ে নেমে পড়তেও চিন্তা করেনা বলেও অভিযোগ রয়েছে। ফলে এসব নিন্মমানের ওষুধে রোগিকে ভুগতে হয় দীর্ঘকাল। যত বেশীদিন ভুগবে রোগি ততই লাভ নিন্মমানের ওষুধ উৎপাদনকারীদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *