গোল্ডেন মনির আরও ৯ দিনের রিমান্ডে
অপরাধ তথ্যচিত্র ডেক্স: দোকান কর্মচারী থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরকে ফের ৯ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (০৩ ডিসেম্বর) বাড্ডা থানার অস্ত্র, বিশেষ ক্ষমতা ও মাদক আইনের তিন মামলায় আসামির ১৮ দিনের রিমান্ড শেষ হলে প্রত্যেকটি মামলায় আরও ১০ দিন করে ৩০ দিনের আবেদন করে পুলিশ।এসময় আসামিপক্ষের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মইনুল ইসলাম অস্ত্রী ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় ৩ দিন করে ৬ দিন ও মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ মাদক মামলায় গোল্ডের মনির ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।এর আগে গেল ২২ নভেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিকের আদালতে অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলা ও আরেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ উর রহমানের আদালতে মাদক মামলার রিমান্ড শুনানি শেষে তিন মামলায় গোল্ডেন মনিরকে ১৮ দিনের রিমান্ড দেন।ওই দিন মনিরকে আদালতে হাজির করে অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় ৭ দিন করে ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ ইয়াসীন মিয়া এবং মাদক মামলায় ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন সংশ্লিষ্ট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জানে আলম দুলাল।গত ২০ নভেম্বর গভীর রাতে মনির বাড্ডার বনশ্রীর বাড়িটি ঘিরে রাখে র্যাব। পরে শনিবার দুপুর নাগাদ টানা ৮ ঘণ্টার অভিযান শেষে ওই বাসা থেকে ৬০০ ভরি সোনার গহনা, বিদেশি পিস্তল-গুলি, মদ, ১০ দেশের বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা ও নগদ এক কোটি ৯ লাখ টাকা জব্দ করা হয়।র্যাব জানিয়েছে, ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় দুই শতাধিক প্লট ও ফ্ল্যাটের মালিক গোল্ডেন মনির। রাজউকের কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে জালিয়াতির মাধ্যমে অসংখ্য প্লট হাতিয়ে নেন তিনি।প্রাথমিকভাবে ৩০টি প্লট ও ফ্ল্যাটের কথা স্বীকার করেছেন মনির। জব্দ করা হয়েছে ২টি বিলাসবহুল গাড়ি, যার প্রতিটির মূল্য ৩ কোটি টাকা।২১ নভেম্বর দেশ থেকে পালানোর পরিকল্পনা ছিল গোল্ডেন মনিরের। তার আগেই তাকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।