বটিয়াঘাটা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের শাখা প্রধানের বদলি ও শাস্তির দাবিতে পরিচালক বরাবর অভিযোগ
বটিয়াঘাটা খুলনা প্রতিনিধি: বাড়ি আমার খাবার ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের খুলনা জেলা বটিয়াঘাটা উপজেলা শাখার শাখা ব্যবস্হাপক শুভেন্দু ঘোষ। তার খারাপ আচরণ ও অফিসে বসে বসে বিভিন্ন সমিতি নিয়ে খারাপ সমালোচনা করার জন্য তাকে অন্যত্র বদলি ও শান্তির দাবিতে বটিয়াঘাটা সমিতির ম্যানেজার,সভাপতি ও সদস্যসহ ৪৫ জন স্বাক্ষরিত আবেদন গত ৩০ নভেম্বর ব্যবস্হাপনা পরিচালক ঢাকা বরাবর ডাক রেজিষ্ট্রি যোগে প্রেরন করেন। এবং তার অনুলিপি জাতীয় সংসদ হুইপ ও সংসদ সদস্য খুলনা -১, জেলা প্রশাসক খুলনা, বটিয়াঘাটা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, আমার বাড়ি আমার খাবার খুলনা জেলা সমন্বয়কারী, বটিয়াঘাটা উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যানদ্বয় ও দায়িত্বপ্রাপ্ত পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ৩ সদস্য বিশিষ্ট অডিট অফিসার বরাবর অভিযোগ প্রদান করেন। অভিযোগ সুত্রে প্রকাশ তিনি যোগদান করার পর থেকে অফিসে বসে বসে বিভিন্ন সমিতির ম্যানেজার, সভাপতি ও সদস্যদের সঙ্গে অফিসে বসে বসে খারাপ আচরণ, লোন নিতে গেছে তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ এমনকি অনেক সদস্যদের ঘাড় ধাক্কা দিয়ে অফিস থেকে বের করা এবং সদস্যদের জোর করে সদস্য প্রত্যাহার ফর্মে স্বাক্ষর নিয়ে সমিতি থেকে বাদ দেওয়ার, অফিসের মটর সাইকেল নিজে বাড়িতে আশা যাওয়ার কাজে ব্যবহার করা এবং ম্যানেজার সভাপতিদের অনারিয়মের টাকা ব্যাংকে রেখে তার মুনাফা খাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তার ব্যবহার মাতালের মতো এবং শেখ হাসিনার সরকার বিরোধী কোন লোক বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। অন্যদিকে,পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে অডিট চলছে যার নেতৃত্বে রয়েছে ঢাকা অফিসের শহিদুল ইসলামসহ ৩ জন। কিন্তু বটিয়াঘাটা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের অডিট চলাকালীন সময়ে শাখা সময়ে ব্যবস্হাপক শুক্রবার, শনিবার এমনকি রবিবারেও তিনি অফিসে আসেনি। তবে বিভিন্ন সমিতির ম্যানেজার ও সভাপতিদের মন্তব্য এটা একটা সাজানো অডিট বা মোটা অর্থের বিনিময়ে এটা করানো হচ্ছে। বাংলার ইতিহাসে হয়তো এটাই প্রথম যে অফিস প্রধান ছাড়া অফিস অডিট চলছে।এছাড়াও উক্ত শুভেন্দু ঘোষের বিরুদ্ধে বটিয়াঘাটা প্রেসক্লাবে সমিতির ম্যানেজার, সভাপতি ও সদস্য মিলে পৃথক ২ টি সংবাদ সন্মেলন করেন এবং উপজেলা নাগরিক সমাজের আয়োজনে পৃথক ২ টি মানব বন্ধন হয়েছিলো। যাহা স্হানীয় ও জাতীয় পত্রিকা মিলে প্রায় ৩০ টি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। আবেদনকৃত সকলের দাবি তাকে অন্যত্র বদলি এবং খারাপ আচরণের জন্য শান্তি দাবি করেন এবং তাকে আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে অপসারণ করা না হলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর অনুলিপি এমনকি আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দেন। সার্বিক বিষয় বটিয়াঘাটা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগ সভাপতি মোঃ আশরাফুল আলম খান বলেন, আমার কাছে অনেকেই নালিশ করেছে শুভেন্দু ঘোষের বিরুদ্ধে। সবার ভাষ্য তিনি সদস্যদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেন না। দেখা যাক শুনেমিলে কি করাযায়। তবে সাধারণ জনগণের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে কেউ টিকতে পারেননি এবং পারবেও না। আগে তদন্ত করে দেখি কি করা যায়।