বাথরুমে তৈরি হচ্ছিল স্যাভলন: জরিমানা ২৬ লাখ, দুইটি প্রতিষ্ঠান সিলগালা
অপরাধ তথ্যচিত্র ডেক্স: ফার্মেসীর থরে থরে সাজানো ছোট-মাঝারি-বড় সাইজের স্যাভলন। দেখতে অবিকল স্যাভলন মনে হলেও সেগুলো আসলে নকল ও মেয়াদোত্তীর্ণ স্যাভলন। যা তৈরি করেছিল হেলথ এন্ড হাইজিং ডিস্ট্রিবিউশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান। তারা মেয়াদোত্তীর্ণ স্যাভলন পাঁচ লিটার পানির জারে করে বাথরুমের মধ্যে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে ছোট ছোট বোতলে ওই নকল ও মেয়াদোত্তীর্ণ স্যাভলন ও হ্যান্ডস্যানিটাইজার বোতলজাত করছিলো। এছাড়া নকল ইন্ডিয়ান মুভ, নিষিদ্ধ সেক্সুয়াল ওষুধ, নকল কেএন৯৫ মাস্ক, ড্র্যাগ লাইসেন্স ও ফার্মাসিস্ট না থাকার কারণে হেলথ এন্ড হাইজিং ডিস্ট্রিবিউশন ও আল শেফা ফার্মেসি-৩ এর ১০ জনকে ২৬ লাখ টাকা জরিমানা করেছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার (২৪ আগস্ট) রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা আদায় করেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু। অভিযানে সহয়তা করেন ওষুধ প্রশাসনের অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল মালেক ও র্যাব-২ এর সদস্যরা।অভিযান শেষে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বলেন, সম্পূর্ণ অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে বাথরুমের মধ্যে নকল ও মেয়াদোত্তীর্ণ লেভেলবিহীন স্যাভলন ও হ্যান্ডস্যানিটাইজার বোতলজাত করছিলো। এগুলো বোতলজাত হচ্ছিল আবাসিক ভবনের নিচ তলায়। হ্যান্ডস্যানিটাইজার যা সম্পূর্ণরুপে দাহ্য পদার্থ।অন্যদিকে, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের লাইসেন্স ও ফার্মাসিস্ট ছাড়া ফার্মেসি পরিচালনা করছিলো আল শেফা ফার্মেসি-৩। তারা এখন পর্যন্ত লাইসেন্সের জন্য আবেদনও করেনি। বিধি বহির্ভূত এই ফার্মেসি মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করার জন্য ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের বড় লোগো গেটে টানিয়ে রেখেছিল। ফার্মেসি থেকে বিপুল পরিমাণ নকল ওষুধ ও অনুমোদনহীন সেক্সুয়াল ওষুধ জব্দ করা হয়েছে। অনুমোদনহীন হ্যান্ডস্যানিটাইটার, চায়না থেকে আমদানিকৃত কেএন৯৫ মাস্কের কথা বললেও সেগুলো নকল কেএন৯৫ মাস্ক জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া নষ্ট ইন্সুলিন ও ভারতীয় অনুমোদনহীন ওষুধ জব্দ করা হয়েছে।পলাশ কুমার বসু আরও বলেন, অভিযানে কারখানা ও ফার্মেসির দুইজন মালিক ও ম্যানেজারসহ মোট ১০ জনকে আটক করা হয়েছে।
কারখানার মালিক মোহাম্মদ আলী মনসুরকে ৫ লাখ, ফার্মেসির মালিক শফিকুল ইসলামকে ৫ লাখ, আমির হোসেনকে ৩ লাখ, ইউসুফকে এক লাখ, ওবায়দুল হককে এক লাখ, মনির হোসেন সুমনকে দুই লাখ, ইয়াসিনকে এক লাখ, রবিউলকে এক লাখ, ইবনে হাসানকে ৫ লাখ ও মো. রাসেলকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়াও দুইটি প্রতিষ্ঠান সিলগালা করে দিয়েছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।