লঞ্চডুবির লাশের সংখ্যা ৩৬, নদীর তীরে আহাজারি
অপরাধ তথ্যচিত্র ডেক্স: রাজধানীর শ্যামবাজার এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে অর্ধশত যাত্রী নিয়ে মর্নিং বার্ড নামের লঞ্চডুবির ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬ জনে। এখনও অনেকেই নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজদের উদ্ধারে এখনও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সোমবার (২৯ জুন) রাতেও নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড ও বিআইডব্লিউউটিএ উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বুড়িগঙ্গা নদীর ফরাশগঞ্জ ঘাট বরাবর মাঝ নদীতে ময়ূর-২ নামে একটি বড় লঞ্চের ধাক্কায় মর্নিং বার্ড ডুবে যায়। ঘটনার পরপরই উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়।
নিহতরা হলেন- সত্যরঞ্জন (৬৫), মিজানুর (৩২), সাইদুল (৬২), সুফিয়া বেগম (৫০), মনিরুজ্জামান (৪২), সূবর্ণা আক্তার (২৮), মুক্তা (১২), গোলাম হোসেন ভূঈয়া (৫০), আবজাল শেখ (৪৮), বিউটি (৩৮), ময়না (৩৫), আমির হোসেন (৫৫), মো: নাইম (১৭), শাহাদাৎ (৪৪), শামমীম বেপারী (৪৭), মিল্লাত (৩৫), আবু তাহের (৫৮), দিদার হোসেন (৪৫), হাফেজা খাতুন (৩৮), সুমন তালুকদার (৩৫), আয়শা বেগম (৩৫), হাসিনা রহমান (৪০), আলম বেপারী (৩৮), মোসা. মারুফা (২৮), শহিদুর হোসেন (৪১), তালহা (২), ইসমাইল শরীফ (৩৫), তামিম ও সাইদুল ইসলাম (৪২)। বাকি ছয়জনের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
এদিকে লঞ্চডুবির ঘটনায় নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (উন্নয়ন ও পিপিপি সেল) মো. রফিকুল ইসলাম খানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে মন্ত্রণালয়।ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, এ পর্যন্ত ৩৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজদের উদ্ধারে তৎপরতা চালানো হচ্ছে। অনেক দুর্ঘটনায়ই উৎসুক জনতার ভিড় হয়ে যায়। এখানেও খুব ভিড়। আমি বোট নিয়ে ঘটনাস্থলে যাচ্ছিলাম। তখন আমার বোটেও মানুষজন উঠে গিয়েছিলেন যাওয়ার জন্য। বোটটি প্রায় ডুবে যাচ্ছিল তখন। আমি অনুরোধ করব, এই মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে ভিড় না করতে।