তানোরে টিআর প্রকল্পে অনিয়ম

তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরের মুন্ডুমালা পৌরসভায় টেস্ট রিলিফ (টিআর) প্রকল্প নিয়ে মেয়র গোলাম রাব্বানীর বিরুদ্ধে ফের স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ পাওয়া গেছে। চলতি বছরের ১০ জুন বুধবার পৌরসভার ৬ কাউন্সিলরের পক্ষে নারী কাউন্সিলর ইসমত আরা বাদি হয়ে মেয়র গোলাম রাব্বানীর বিরুদ্ধে রাজশাহী জেলা প্রশাসক(ডিসি) ও তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এদিকে মেয়রের বিরুদ্ধে করা অভিযোগের খবর ছড়িয়ে পড়লে পৌরবাসির মধ্যে ব্যাপক চান্চল্যর সৃস্টি হয়েছে, উঠেছে সমালোচনার ঝড়, কেউ কেউ মেয়রের দৃস্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করেছে। অন্যদিকে লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, মুন্ডুমালা পৌরসভায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে টিআর প্রকল্পের দ্বিতীয় কিস্তিতে বরাদ্দ হয় প্রায় ৪ লাখ ৫১ হাজার টাকা। কিন্ত্ত মেয়র গোলাম রাব্বানী প্রথম কিস্তির মতো দ্বিতীয় কিস্তির বরাদ্দ উত্তোলনেও এই ৬ কাউন্সিলরকে বন্চিত করেন। এমনকি প্রকল্প গ্রহণ ও বরাদ্দ উত্তোলনে কোনো সভা করা হয়নি প্রকল্প কমিটিকেও জানানো হয়নি। মেয়র গোলাম রাব্বানী তার ঘনিষ্ঠ সহচর সাইদুর রহমানকে দিয়ে তালিকা প্রণয়ন করেছেন।এর আগে প্রথম কিস্তির বরাদ্দ উত্তোলনেও একই কাজ করেছিলেন মেয়র। এদিকে জনগণের সরাসরি ভোটে এসব কাউন্সিলরদের প্রতিটিক্ষেত্রে বন্চিত রাখায় তারা নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পুরণে ব্যর্থ হচ্ছে যেটা নাগরিকগণও মেনে নিতে পারছে না। তারা মেয়রের এমন আচরণে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। এব্যাপারে মুন্ডুমালা পৌরসভার কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র আমির হোসেন আমিন বলেন, আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। আর যদি পৌরবাসীর উন্নয়নে আশা বিভিন্ন বরাদ্দের টাকা বন্টন করতে আমাদের না ডেকে মেয়র তার ইচ্ছে মত তার অনুসারীদের নিয়ে ভাগবাটোয়ারা করে নেয় তাহলে আমরা আমাদের নির্বাচনী এলাকায় কি উন্নয়ন কাজ করবো।আর জনগণের কাছে কি জবাব দিব শুধু তাই না এর আগেও মেয়র পৌর এলাকার উন্নয়নের নামে পৌরসভার ফান্ডের টাকা নয়ছয় করেছে। এবার মেয়রকে ছাড় দেয়া হবে না। আমরা কাউন্সিলররা মেয়রের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ তুলে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছি এবং সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে আইন গত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাবি জানিয়েছি। এব্যাপারে মুন্ডুমালা পৌরসভার মেয়র গোলাম রাব্বানী সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কোন অনিয়ম দূর্নীতি করিনি কাউন্সিলররা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে।এব্যাপারে পৌর সচিব আবুল হোসেন বলেন, কাউন্সিলরা ভাল না এরা না বুঝেই এসব করে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *