তানোরে সেতু বিড়ম্বনায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী

তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউপির কৃষ্ণপুর-কচুয়া রাস্তায় গ্রামীণ সেতু নির্মাণের পর প্রায় ৩ মাস অতিবাহিত হলেও দুই পাশে মাটি না দেয়ায় সংযোগ সড়ক বিছিন্ন হয়ে পড়ে রয়েছে। সেতু দিয়ে চলাচল করা যাচ্ছে না। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও পিআইও অফিসে বারবার ধর্না দিয়েও কোনো কাজ হয়নি। এতে এলাকার কয়েক হাজার মানুষের স্বাভাবিক চলাফেরায় বিঘ্ন ঘটছে এই অবস্থায় ঠিকাদারও লাপাত্তা রয়েছে। চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সৈনিক লীগ নেতা সাদেকুল ইসলাম সাদেক ও রাব্বিল নেতাকর্মীদের নিয়ে সেচ্ছাশ্রমে সেতুর সংযোগ সড়কে গর্ত ভরাট করেন।
তথ্যানুন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার পাঁচন্দর ইউপির কৃষ্ণপুর-কচুয়া রাস্তায় পুরনো কালর্ভাট বেশ কয়েক মাস আগে ভেঙ্গে পড়ে। এঅবস্থায় গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর হতে ২৮ লাখ ১১ হাজার ৪২ টাকার অর্থায়নে ৩৬ ফুট দৈঘ্যের সেতু/কালর্ভাট নির্মাণ কাজ পায় রাজশাহী নগরীর মুসা হাজি ও সাহিন নামের ঠিকাদার।বেশ কয়েক মাস আগে সেতু নির্মাণ কাজ শেষ হয়। কিন্তু সেতুর সংযোগ সড়ক বিছিন্ন রেখে ঠিকাদার লাপাত্তা হয়। এতে কৃষ্ণপর, লছিরামপুর, কচুয়া, পাঁচন্দর, দেওলা, ডাঙ্গাপাড়া, পুরানাপাড়া ও মাহানপুর গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের স্বাভাবিক চলাফেরা মারাত্নকভাবে ব্যহত হয়।এনিয়ে ওই এলাকার হাবিবুর ও মোস্তাফিজুরসহ অনেকে জানান, ওই সেতু নির্মাণে খুবই নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। কয়েক দিন আগে বৃষ্টির পানিতে রাস্তা ভেঙ্গে পড়েছে। সেতু দিয়ে কোন যানবাহন তো দূরের কথা পায়ে হাটাও কষ্টকর। এঅবস্থায় সেতু সংশ্লিষ্টদের বলা হলেও কর্ণপাত করা হয়নি। ফলে নিরুপাই হয়ে তাদের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন যুবক সেচ্ছাশ্রমে গত ৩০ এপ্রিল সেতুর ভিতরে ও বাইরে মাটি ফেলা হয়েছে।এব্যাপারে ঠিকাদার মুসা হাজি ও সাহিনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি। তবে, এনিয়ে তানোর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) তারিকুল ইসলাম বলেন, পহেলা বৈশাখে আপনাদের (সাংবাদিক) সম্মানে কুড়ি হাজার টাকা দিলাম, আপনারা যদি এসব ছোটখাটো বিষয় ধরেন তাহলে হয়, তিনি এবিষয়ে কোনো খবর প্রকাশ না করতে অনুরোধ করেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *