সামান্য কিছু ত্রান পাইলে , খেয়ে কোন মতে জীবনটা বাঁচিয়ে রাখতাম বাবা’
মোঃ মোখলেছুর রহমান, বিভাগীয় প্রতিনিধি রংপুর : এমন কথাই বলছিলেন পীরগাছা উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের দাদন গ্রামের দু’জন বিধবা অসহায় নারী। করোনাভাইরাস কি তা জানে না তারা, এমনকি বুঝতেও পারে না এর ভয়াবহতা। শুধু জানে পেটে তিন বেলা ভাত জোটেনা তাদের। আহারই যেন তাদের একমাত্র চাওয়া। আহার পেলেই হবেন খুশি। শতবর্ষী অসহায় বৃদ্ধা মোছাঃসালেহা বেওয়া স্বামী মৃত্যুবরণ করেছেন দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে। দুই মেয়ে ও এক মেয়ে নিয়ে ছিল তার পরিবার। হয়তোবা সুখের মুখ কখনো দেখেননি তিনি। বছর কয়েক আগে ছেলেটা দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে বিছানায় পরে আছে। এখন একমাত্র মেয়ে দুটি তাকে দেখভাল করছেন। বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন সালেহা। হাঁটার শক্তি না থাকায় বিছানায় শুয়ে বসে কাটছে দিন। ক্রমান্বয়ে বাকশক্তি লোপ পাচ্ছে সালেহার। আর অসুস্থতা ও চিকিৎসা হীনতার পাশাপাশি খাদ্যাভাব যেন হয়ে দাঁড়িয়েছে তার নিত্য সঙ্গী। অপরদিকে, একই পাড়ার আয়শা বেওয়া ( ৮৫) স্বামী মৃত্যু ফজর আলী। এক ছেলে নিয়ে অতিকষ্টে দিন চলছিল আয়শার । এক ছেলেই পৃথক হওয়ায় মাকে দেখার কেউই নেই । নিরুপায় হয়ে পেট বাঁচানোর দায়ে ভিক্ষাবৃত্তিকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন তিনি। কিন্তু বয়সের কড়াল গ্রাসে এখন সোজা হয়ে দাঁড়াতে কিংবা হাঁটতেও পারেন না তিনি। শুধু গ্রামের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল তার কর্মপরিধি। সাম্প্রতিক করোনা সংকটের কারণে মানুষ আর বাড়িতে যেতে দিচ্ছে না তাকে। ভিক্ষায় যেতে না পেরে অনাহারে – অর্ধাহারে দিন কাটছে তার।
পাশের বাড়ির ভ্যান চালক মোঃ সামিউল ও রফিকুল , একজন ভ্যান চালক ও একজন দিন মজুর, ত্রানে পণ্য এদের কপালে জোটে না,,
এ অবস্থায় ওই গ্রামের সবচেয়ে প্রবীণ দুই নারী ও তিন পুরুষের দেখা দিয়েছে খাদ্যাভাব। তিন বেলা পেট পুরে খেতে চেয়েছেন তারা খাদ্য সহায়তা।
এ বিষয়ে কথা হয় সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য জনাব মোঃ খোকা মিয়া (২নং ওয়ার্ড) জনাব জাহাঙ্গীর আলম(৪নং ওয়ার্ড) , ‘ তারা বলেন- আমরা ৩/৪টি নাম পেয়েছি, কাকে ছেরে কাকে দেব? সবাই তো দরিদ্র।