ত্রাণ নেওয়ার ছবি না তোলায় চড় মারলেন চেয়ারম্যান!

অপরাধ তথ্যচিত্র ডেক্স: সরকারি ত্রাণ নেওয়ার সময় দুস্থ ও অসহায় মানুষরা সুন্দর করে দাড়িয়ে ত্রাণ নেওয়ার ছবি তুলতে অনিহা প্রকাশ করায় বেশ কয়েকজনের গায়ে হাত তুলেছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। দুস্থ অসহায় বয়স্ক মহিলা ও পুরুদের ক্যামেরার দিকে তাকাতে বলেন ঐ চেয়ারম্যান। ক্যামেরার দিকে না তাকানোয় অশ্লীল ভাষায় বাজে মন্তব্য করেছেন। এছাড়া বেশ কয়েকজনের গায়ে হাত তোলেন ইউপি চেয়ারম্যান। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ত্রাণ দেওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। দেখা যায় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন বিশ্বাস এমন কর্মকাণ্ড করছেন। করোনা ভাইরাস দুর্যোগে বাংলাদেশে লকডাউনের মধ্যে কর্মহীন মানুষ এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে খাদ্য সহায়তা দেয়ার ক্ষেত্রে দুনীতি, অনিয়ম বা বিশৃঙ্খলার অভিযোগ অনেক। জেলার পর্যায়ে অভিযোগের কমতি নেই। আর দৌলতপুর উপজেলার অনিয়মের অন্যতম ‘সমন্বয়ক’ মহিউদ্দিন বিশ্বাস।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে দৌলতপুুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার বলেন, ‘আমরা বিষয়টি জেনেছি। আমি উদ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারা ব্যবস্থা নেবেন। তাকে শোকজ করা বা যে ব্যবস্থা নেয়ার তা নেয়া হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বোয়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্য জানান ‘মহামারির সময় কতো ধরনের লোক কতো ঘটনা ঘটাচ্ছে। আমি আগেও পাঁচ বছর মেম্বার ছিলাম, এখনও আছি। কেউ বলতে পারবে না- কোনো খারাপ কাজ করছি। চেয়ারম্যানের কথা আর বলার কিছু নাই। এইসব চেয়ারম্যান চলে নাকি। যারা জনগণের সুখ-দুঃখ না বোঝে। চেয়ারম্যান অনেক সময় সাংবাদিকদের ফোন ধরেন না।
অভিযুক্ত চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন বিশ্বাসের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগের কথা বলা হচ্ছে তা ঠিক না। কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে আমাকে ফাঁসানোর জন্য ষড়যন্ত্র করছে। এর পরেই তিনি ফোন কেটে দিয়ে বন্ধ করে দেন। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।জানা যায়, এর আগে ইউনিয়ন পরিষদের বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য মোটা অঙ্কের টাকা আত্মসাত করেছিলো। এ কারনে ২০১৭ সালে চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে পরিষদের নির্বাচিত ১২ সদস্যের (মেম্বার) সবাই অনাস্থা প্রস্তাব পাঠায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *