সান্তাহারে তৈরি হচ্ছে মাস্ক,বেড়েছে ব্যবহার
আদমদীঘি প্রতিনিধি : করোনা ভাইরাসের প্রতিরোধ হিসেবে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার শহরের মানুষের মাঝে মাস্কের ব্যবহার বেড়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মাস্ক তৈরি করছেন। ফলে সান্তাহারে আর মাস্কের সংকট নেই। গত এক সপ্তাহ আগে সান্তাহার বাজারে মাস্কের প্রচন্ড সংকট ছিল। সান্তাহারের অনেক মানুষ পাশের শহর নওগাঁ থেকে মাস্ক কিনে ব্যবহার করেছে। বর্তমান সাশ্রয়ী মূল্যে মাস্ক পাওয়া যাচ্ছে। গত সপ্তাহের তুলনায় দ্বিগুন মানুষ এখন মাস্ক ব্যবহার করছেন। মাস্কের সংকট কাটাতে এবং বাজারে প্রচুর চাহিদার কারণে সান্তাহার পৌর শহরের ঢাকা পট্্ির, মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা মাস্ক তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছে। বিভিন্ন মানের, বিভিন্ন দামের এসব মাস্ক স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে নওগাঁ শহরে ব্যবসায়ীরা কিনে নিয়ে যাচ্ছে। সান্তাহার রেলগেট, ষ্টেশন রোড, মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট, দৈনিক বাজার, বিভিন্ন বিপনী বিতান, ঢাকা পট্রিসহ শহরের মেড়ে মোড়ে মাস্ক বিক্রি হচ্ছে। সান্তাহার পৌর শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন বয়সের, বিভিন্ন পেশার মানুষ মাস্ক ব্যবহার করছেন। সান্তাহার পৌর শহরের ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও একাদশ শ্রেনীর ছাত্রী রুবাইয়াৎ জেসমিন বলেন, নিজে মাস্ক ব্যবহার করছি এবং অন্যদের মাস্ক ব্যবহার করতে পরামর্শ দিচ্ছি। সান্তাহার মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও মাস্ক বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম জানান, আমার দোকানের অন্যান্য অর্ডার বাতিল করে শুধু মাস্ক বানাচ্ছি সারা দিন। আমি স্বল্প দামে মাস্ক বিক্রি করছি। পাইকাররা এসে তা নিয়ে যাচ্ছে। সান্তাহার মেইন রোডের ওষুধ ব্যবসায়ী রাকিব হাসান বলেন, গত কয়েকদিনে সার্জিকাল মাস্কের চাহিদা অনেক বেড়েছে। প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ বাক্্র মাস্ক বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া চাহিদা বেড়ে গেছে হ্যান্ড ওয়াশ, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, থার্মোমিটারের মতো চিকিৎসা সামগ্রীর। প্রতিদিন এসব সামগ্রীর চাহিদা দিতে হচ্ছে কোম্পানিদের। আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ড. শহীদুল্লাহ দেওয়ান বলেন, আসলে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে এন- ৯৫ মাস্ক ব্যবহার করবার নিয়ম। কিন্তু আমাদের উপজেলায় সরবরাহ নেই। বাজারে যেসব মাস্ক ব্যবহার হচ্ছে, তা ওয়ান টাইম হিসেবে ব্যবহার করার কথা। আর এমন ভাবে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে, যেটি দিয়ে মুখ, নাক ঢেকে যায় এবং তা হতে হবে সুতি কাপড়ের। যাদের যাঁদের হাঁপানি, কাশি আছে, তাঁদের মাস্ক ব্যবহার খুব জরুরি।