ঝিনাইদহ সাধুহাটি বারমাইলে অবহেলিত হুসাইনি এতিমখানা ও মাদ্রাসাটি দানশীল ও বিত্তবানদের সহযোগিতা চাই

সাইফুল ইসলাম ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটি ইউনিয়নের বারমাইল পরশ বাজার রাঙ্গের পোতা হাফিজিয়া এতিমখানা মাদ্রাসাটি অবহেলিত হয়ে পড়েছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে মাদ্রাসাটি সরকারের কোন অনুদান ছাড়া শুধু চুয়াডাঙ্গা জেলার বদরগঞ্জ বাকী বিল্লাহ কামিল মাদ্রাসা থেকে কিছু টাকা আর স্থানীয় রাঙ্গের পোতা গ্রামের হরফ মাস্টারের ছেলে এনামুল হক ও স্থানীয় এলাকাবাসীর আংশিক সহোযোগিতায় ১৫-২০ জন আবাসিক এতিম ছাত্রদের খাওয়া ও লেখাপড়া ব্যয়ভাড় বহন করে কোনো রকমে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে প্রতিষ্ঠানটি। সাধুহাটি বারমাইল হুসাইনি এতিমখানা ও অত্র মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মোঃ নাজমুজ সাকিব জানান,আমি শুনেছি এলাকাবাসীর উদ্যোগে ২০১৪ সালে দুই রুম ওয়ালা ইটের ঘরের মাঝে এ এতিমখানাটি স্থাপিত হয়। এই ৫/৬ বছর সময় ধরে ১৫ -২০ জন ছাত্র থাকা খাওয়ার ব্যবস্থাসহ কুরআন শিক্ষা দেয়া হয়। এলাকাবাসীর সহোযোগিতায় অল্প কিছু জমির উপরে এই এতিমখানা ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই থেকে সরকারের কোন টাকা ছাড়াই এনামুল হক ও বদরগঞ্জ মাদ্রাসার সামান্য অনুদান আর কিছু এলাকাবাসীর সযোযোগিতায় এই প্রতিষ্ঠানটি এভাবেই চলছে।ঐ জমিতেই এলাকাবাসীর সাহায্য সহোযোগিতা নিয়ে ১৫-২০ হাত ১টি ইটের টিনের ঘর তৈরি করে এতিমখানা কার্যক্রম চালানো হয়। বর্তমানে বডিংয়ে আছে ১৫-২০ জন ছাত্র। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এতিমখানায় ১ জন শিক্ষক দিয়ে স্থানীয় ও দূরদূরান্ত থেকে আগত অসহায় এতিমদের দ্বীনি শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। এ প্রতিষ্ঠানটি স্থাপিত হওয়ার পর থেকেই ধিকিধিকি করেই চলছে, কিন্তু প্রতিষ্ঠানের ভবন, উন্নত যোগযোগ ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ, বাউন্ডারি ও সার্বিক সহোযোগিতা না থাকায় এখন উক্ত প্রতিষ্ঠানটি পাঠ্যদানে ব্যাহত হচ্ছে। অদ্যাবদি পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি চালিয়ে নেয়ার মতো কোনো ধরনের সুযোগ সুবিধা পায়নি। হাফেজ মোঃ নাজমুজ সাকিব আরও জানান, এখানে ঘটনামূলক শিক্ষাদানে এবং এতিম বাচ্চাদের আশ্রয়ণ ও খাওয়ার ব্যবস্থাসহ মানুষ করার দায়িত্ব এই প্রতিষ্ঠানের। কিন্তু আমরা সে অনুপাতে দান-অনুদান পাচ্ছি না। বর্ষাকালে টিনের চালের ফাঁক দিয়ে বৃষ্টির পানি পরে, ঘরটি জরুরি ভিত্তিতে মেরামত করা প্রয়োজন। মাদ্রাসার ছাত্র আবু সালিম,জিহাদ,হাসিবুলসহ প্রায় ছাত্রই কান্না জড়িত কন্ঠে বলে নেই আমাদের ভবন, বাউন্ডারি ওয়াল না থাকায় রাতে আমাদের প্রচন্ড ভয় লাগে, আমাদের নেই পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা, উন্নত চিকিৎসা। সুতরাং আমরা এতিম যদি কোন হৃদয়বান দানশীল ব্যক্তিরা আমাদের এই এতিমখানায় দান করেন তাহলে আমরা সুষ্ঠ সুন্দর ভাবে দ্বীনি শিক্ষাসহ মানুষের মত মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে পারবো। সাধুহাটি বারমাইল পরশ বাজার রাঙ্গের পোতা হুসাইনি এতিমখানা ও মাদ্রাসাটি এখন চালিয়ে নেয়া অসম্ভব হয়ে পড়ছে। এই এতিমখানা ও মাদ্রাসায় যদি কোনো হৃদয়বান বা কোন সরকারি কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা পাই তাহলে প্রতিষ্ঠান আরও ভালোভাবে চালিয়ে নিতে সক্ষম হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *