চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৯
হাবিবুর রহমান,চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গায় হটাৎ করে দুইদিন দমকা হাওয়া প্রবাহিত হওয়ায় শীতের প্রকোপ বেড়ে গেছে। বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিন্ম তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায়। এদিন বেলা বাড়লেও শীতের তীব্রতা কমেনি। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় ৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে বলে চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেনীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায় । ভোর থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের দেখা মিললেও নেই কোন উত্তাপ। শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। তারা নিত্যদিন কোন কাজ পাচ্ছেনা। এছাড়া সাধারন মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না। ছিন্নমূল মানুষ খড়কুটোয় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালাচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে উপস্থিতির হার কম হচ্ছে। সকালে যাত্রী কম হওয়ায় যাত্রীবাহী বাস গুলোও দেরিতে গন্তেব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা.শামীম কবির জানান, হঠাৎ করে তীব্র শীত অনুভূত হওয়ায় বৃদ্ধ ও শিশুরা শ্বাস কষ্ট এবং পাতলা পায়খানা জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হাসপাতালের বিছানা বাদে অর্ধশত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে যা আরো বাড়বে। চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) সুফি মো: রফিকুজ্জামান বলেন, হঠাৎ করে শীত অনুভূত হওয়ায় বোরো বীজতলা ‘কোল্ড ইনজুরি’ আক্রান্ত হতে পারে। তবে শীত জনিত ফসলের ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা নেই। চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেনীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক তহমিনা নাসরিন জানান,আজ বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। বাতাসের গতির বেগ ঘন্টায় ৬ থেকে ৯ কিলোমিটার। কয়েকদিন পর চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা আরো কমে আসতে পারে বলে জানান তিনি। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার জানান, চুয়াডাঙ্গা শীতার্ত মানুষের জন্য ত্রাণ ভান্ডার থেকে ২৬ হাজার কম্বল এসেছে। যা চুয়াডাঙ্গা সদর, আলমডাঙ্গা, দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলায় বিতরণ করা হচ্ছে।