এমপি ফারুকের বিরুদ্ধে ফের মিথ্যাচার
তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ ও সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধূরীকে নিয়ে ফের মিথ্যা প্রচারণা শুরু করার অভিযোগ উঠেছে। রাজশাহীতে ফারুক চৌধূরীকে নিয়ে দুটি রাজনৈতিক দলের কতিপয় দুই নেতার বেফাঁস মন্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে উঠেছে সমালোচনার ঝড় জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এবার এমপি ফারুক চৌধূরীকে রাজাকারপুত্র ও ছাত্রদল-ফ্রিডম পার্টি হয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আশার কথা বলা হয়েছে, তবে ছাত্রদল বা ফ্রিডম পার্টির কি পদে তিনি ছিলেন বা কি কারণে তিনি রাজাকার পুত্র রাজাকারের সজ্ঞা কি সেসব বলা হয়নি তাহলে তিনি যদি এই দুটি দলের কোনো পদেই না থাকেন বা স্বাধীনতাবিরোধী কাজে সম্পৃক্ত না থাকেন তাহলে কি বিবেচনায় কার স্বার্থে তার বিরুদ্ধে এমন মানহানিকর অভিযোগ করা হলো। অনুসন্ধানে জানা গেছে, তিনি রাজাকার পুত্র এটা সম্পূর্ণ অসত্য মিথ্যা ও জঘন্যতম অপ্রপ্রচার। কারণ তার বাবা শহীদ আজিজুল হক চৌধূরী ও চাচা মুকবুল হক চৌধূরীকে পাকিস্থানি হানাদার বাহিনী ধরে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে, তার মামা জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামরুজ্জামান হেনা। এখন প্রশ্ন হলো রাজাকারের সজ্ঞা কি ? সাধারণত স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যারা পাকিস্থানি সেনাদের সহায়তা, অন্যর বাড়ি-ঘর লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, খুন-ধর্ষণ ইত্যাদি করেছে তাদের রাজাকার বলা হয়। তাহলে এমপি ফারুক চৌধূরীর বাবা শহীদ আজিজুল হক চৌধূরী কি এমন কোনো কাজ করেছে করলে সুনিদ্রিষ্ট প্রমাণ দেয়া হোক যদি না করে তাহলে একজন শহীদ ব্যক্তির বিরুদ্ধে কেনো এমন জঘন্যতম মিথ্যাচার এটা কার স্বার্থে এতে কি আওয়ামী লীগ উপকৃত হবে না ক্ষতিগ্রস্ত হবে এর দায় নিবে কে ?
আবার তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্রিডম পার্টির নেতা ছিলেন এটাও বানোয়াট। কারণ ফরুক চৌধূরী ১৯৮২ সালে লেখপড়া শেষ করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে এসেছেন, আর ১৯৮৭ সালে রাজশাহীতে ফ্রিডম পার্টির আর্বিভাব ঘটেছে। তাহলে তিনি কিভাবে ফ্রিডম পার্টির নেতা হলেন যদি সেটা হয় তাহলে বাক্ষ্যা দেয়া হোক তিনি কোন পদে ছিলেন। এছাড়াও ছাত্রদল থেকে তিনি আওয়ামী লীগে এসেছেন এটাও অসত্য ও জঘন্যতম মিথ্যাচার কারণ বিএনপির যখন স্বর্ণযুগ সেই সময়ে এমপি ফারুক চৌধূরী আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সরাসরি সম্পৃক্ত হয়েছেন। তাহলে তিনি কি ? বোকা ক্ষমতাসীন দল ছেড়ে বিরোধীদলের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হবেন এটা তো পাগলেও বিশ্বাস করবে না নিজের ভাল তো পাগলেও বোঝে তাই নয় কি ? স্থানীয়রা বলছে, জামায়াত-বিএনপির বি-টিম হয়ে একটি মহল পরিকল্পিত ভাবে ফের এমপি ফারুক চৌধূরীর বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। তারা বলছে, রাজশাহীর দুই শহীদ পরিবারের সন্তান আদর্শিক নেতৃত্ব রাসিক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন এবং সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধূরীকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে রাজশাহীতে আওয়ামী লীগকে সাংগঠানিক ভাবে দুর্বল, দলীয়কোন্দল সৃষ্টি ও দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ভাঙন ধরাতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছেন। এরই অংশ হিসেবে তারা প্রথমেই এমপি ফারুক চৌধূরীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে, তার পারিবারিক, রাজনৈতিক, বাণিজ্যিক, সামাজিক অবস্থান নিয়ে একের পর এক মিথ্যাচার করা হচ্ছে। কারণ জেলার নেতৃত্ব থেকে তাকে সরাতে পারলেই লিটনকে সরানো সহজ হবে। তাদের অভিমত, এই দুই নেতা যতদিন নেতৃত্ব রয়েছে ততোদিন এখানে আওয়ামী লীগবিরোধী শক্তি মাথাচাঁড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। তাই আওয়ামী লীগবিরোধী একটি শক্তি আওয়ামী লীগের কিছু বিপদগামী নেতাকে ট্রামকার্ড হিসেবে ব্যবহার বরে জামায়াত-বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়নে তারা জামায়াত-বিএনপির বি-টিম হয়ে কাজ করছে। স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত, বিশ্বের দ্বিতীয় সৎ ও সেরা রাজনীতিবিদ বঙ্গবন্ধু কন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনা নিজের একক ক্ষমতা বলে দলের সব প্রটৌকল ভেঙ্গে এমপি ফারুক চৌধূরীকে আওয়ামী যোগদান করিয়ে পাঁচ বার এমপি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি করেছেন, একবার শিল্প প্রতিমন্ত্রী করেছেন আর দলের সভাপতি যেই মানুষটিকে এতোভাবে সম্মানিত করেছেন। তাহলে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ তিনিই তো রাজশাহীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি, এখন প্রশ্ন হলো যারা এমপি ফারুক চৌধূরীর বিরুদ্ধে এসব অপপ্রচার করছে তারা তো প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেই অপপ্রচার করছে বিষয়টি তায় নয় কি। আবার এই মানুষটির বিরুদ্ধে যারা এসব অপপ্রচার করছে তারা নিজেরা কি ? আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী দলে তাদের অবদান কি ফারুক চৌধূরীর থেকে বেশী তিনি আওয়ামী লীগে আশার আগের ও পরের অবস্থান বিশ্লেষণ করলেই বিষয়টি পরিস্কার হয়ে উঠবে ইত্যাদি এসব প্রশ্ন এই জনপদের সাধারণ মানুষের উঠেছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।