তানোরে আদিবাসী নারীকে ধর্ষণ চেস্টার অভিযোগ
রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে কথিত সাংবাদিক, থানার দারোগা ও কথিত সোর্সের বিরুদ্ধে এক আদিবাসীকে নারীকে ধর্ষণ চেস্টা ও মামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তানোর পৌর এলাকার তালন্দ উপরপাড়া (আদিবাসীপাড়া) গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। এদিকে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে উঠেছে সমালোচনার ঝড় দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। স্থানীয়রা এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেছে।এ ঘটনায় ওই আদিবাসী নারী বাদি হয়ে তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে বিবাদী করা হয়েছে বেলপুকুর গ্রামের এবাতুল্লাহ মহুরীর পুত্র কথিত সাংবাদিক মামুনুর রশিদ মামুন, তানোর থানার এসআই (দারোগা) আব্দুল হামিদ ও সিন্দুকাই গ্রামের মুঞ্জুর রহমানের পুত্র কথিত সোর্স মুন্নাকে। এদিকে অভিযোগ তুলে নিয়ে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি আপোষ-মিমাংসার জন্য দারোগা হামিদ তার লোকজন দিয়ে ওই আদিবাসী পরিবারকে নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করছে বলে তারা গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে অভিযোগ করেছে। ফলে আদিবাসী পরিবারটি এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় মানবেতর জীবনযাপন করছে। স্থানীয় আদিবাসীরা এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় সাংসদ, রাজশাহী রেঞ্জের (ডিআইজি), রাজশাহী পুলিশ সুপার, তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও তানোর থানার অফিসার ইনচার্জের (ওসি) জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, ইতপূর্বে তানোর পৌর এলাকার বেলপুকুর গ্রামের এবাদুল্লাহ মুহুরীর পুত্র ও কথিত সাংবাদিক মামুনুর রশিদ মামুন মদ্যপ অবস্থায় তাকে কুপ্রস্তাব দেয় এতে তিনি সাড়া না দিলে তাকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর হুমকি দিয়ে তিন হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। কথিত সাংবাদিক মামুন পরবর্তীতে আবারো তার কাছে টাকা চাইলে তিনি দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন এ সময় মামুন তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। চলতি বছরের ১৬ অক্টোবর দিবাগত রাত অনুমানিক ৯ টার দিকে এক নম্বর বিবাদী দুই নম্বর ও তিন নম্বর বিবাদীকে হাত করে তার বাড়িতে অনাধিকার প্রবেশ করে তাকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর ভয়ভীতি দেখিয়ে নগদ ২৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এ সময় দুই নম্বর বিবাদী তাকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিয়ে হাত ধরে টেনে ঘরের মধ্যে নিয়ে খারাপ খারাপ কথা বলে এক পর্যায়ে প্রতিবেশীরা এসে এসবের প্রতিবাদ করলে পরিস্থিতি বে-গতিক বুঝতে পেরে তারা দ্রুত ঘটনা স্থল ত্যাগ করে। এদিকে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উপজেলার আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসরিন বানু বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।