দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার মফিজুল ইসলাম, ছদ্দনাম পলাশ মাহমুদ ও তার ভাই বিএনপি নেতা শরিফুল ইসলাম ও জামাতি ইসলামের ক্যাডার রবিউল ইসলাম এবং আছাদুল ইসলাম এর জীবন বৃত্তান্ত।
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (খুলনা): মফিজুল ইসলাম ছদ্দ নাম পলাশ মাহমুদ এর জীবন বৃত্তান্ত:
* জন্ম স্থান: গ্রাম: গোকুল নগর, পোষ্ট: নাকনা, থানা: আশাশুনী, জেলা: সাতক্ষীরা।
* পিতার নাম: মৃতঃ মোহাম্মদ আলী গাজী।
* মাতার নাম: জাহানারা।
* স্থায়ী ঠিকানা:১নং কয়রা, খুলনা।
* বর্তমান ঠিকানা: মিরপুর – ২, ঢাকা।
* জাতীয় পরিচয় পত্র নং: ১৯৮৮৪৭১৫৩৫৫৭৪৯৮১৩।
* জন্ম তারিখ: ২৫/১১/১৯৮৮ ইং।
* ফরম নং: ১৭৪৯৮১৩।
* ভোটার নং: ৪৭১৪০১৭৪৯৮১৩।
* ছদ্দবেশী নাম: পলাশ মাহমুদ (জন্ম নিবন্ধন সূত্রে)।
* নতুন জন্ম বিবন্ধন নং: ১৯৮৮৪৭১৫৩৫৫১০০৬৫৯।
ছাত্র ও রাজনৈতিক জীবন:
* ১৯৯৯ সালে কালনা, আমিনিয়া বহুমুখি ফাজিল মাদ্রাসা, কয়রা, খুলনায় ৭ম শ্রেনীতে ভর্তি হয় এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের সমর্থক ছিল।
* ২০০০ সালে একই মাদ্রাসায় ৮ম শ্রেনীতে অধ্যায়নরত অবস্থায় বাংলাদেশ ইসলাম ছাত্র শিবিরের কর্মি ছিল।
* ২০০১ সালে একই মাদ্রসায় ৯ম শ্রেনীতে পড়া কালীন সময় বাংলাদেশ ইসলাম ছাত্র শিবিরের সাথী প্রার্থী এবং সাথী ছিল।
* ২০০২ সালে ১০ম শ্রেনীতে অধ্যায়নরত অবস্থায় বাংলাদেশ ইসলাম ছাত্র শিবিরের কালনা মাদ্রাসার উপশাখার কমিটির সদস্য পদ গ্রহন করে।
* ২০০৩ সালে একই মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাশ করেন এবং কয়রা কপোতক্ষ কলেজে এইস এস সি তে ভর্তি হন ও ঐ কলেজের বাংলাদেশ ইসলাম ছাত্র শিবিরের সভাপতি পদে নির্বাচিত হয় এবং বাংলাদেশ ইসলাম ছাত্র শিবিরের কয়রা থানা শাখার সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসাবেও নির্বাচিত হয়।
* ২০০৪ সালে বাংলাদেশ ইসলাম ছাত্র শিবিরের সদস্য প্রার্থি হয়।
* ২০০৫ সালে কয়রা কপোতাক্ষ কলেজ এইস এস সি পাশ করে এবং বাংলাদেশ ইসলাম ছাত্র শিবিরের (সদস্য ক্যাডার) হয়ে খুলনা মহানগর ছাত্র শিবিরে যোগদান করে।
* ২০০৫ সালে বাংলাদেশ ইসলাম ছাত্র শিবির খুলনা মহানগর শাখার পৃষ্ঠপোষকতায় ঢাকা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৫-২০০৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যম্পাসে শিবিরের তান্ডব শুরু করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিক্ষাকে কেন্দ্র করে ভিসির সঙ্গে তার ঝামেলা হয় এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভিসির অনুপস্থিতিতে ভিসির স্ত্রী কে মারপিঠ করে। যার জন্য থানায় ১টি মামলা দায়ের করে সেই মামলায় বডি ওয়ারেন্ট ছিল (দেখা মাত্র গুলি)।
* ২০০৮ সালে ২৯ শে ডিসেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর সে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যম্পাস ছাড়ে এবং আত্ম গোপন করে। পরবর্তীতে নিজ নাম মফিজুল গোপন করে পলাশ মাহমুদ নামে নাম করন করে এবং নিবন্ধন করে।
*** সে লোগী বৈঠা আন্দোলনের সময় খুলনা ও ঢাকায় বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশ ইসলাম ছাত্র শিবিরের পক্ষে তান্ডব ও হামলা চালায়।
মোঃ মফিজুল ইসলাম ছদ্দ নাম পলাশ মাহমুদ, তার জাতীয় পরিচয় পত্রে নাম মোঃ মফিজুল ইসলাম, পরিচয় পত্র নং ঃ ১৯৮৮৪৭১৫৩৫৫৭৪৯৮১৩, তার জন্ম নিবন্ধনে নিজ নাম পলাশ মাহমুদ, নিবন্ধন নং ঃ ১৯৮৮৪৭১৫৩৫৫১০০৬৫৯। কি ভাবে একই ব্যক্তি জাতীয় পরিচয়পত্রে নিজ নাম মফিজুল ইসলাম এবং জন্ম নিবন্ধনে পলাশ মাহমুদ হয়। এই ছদ্দবেশি নামে পলাশ মাহমুদ পরিচয় দেয় ঢাকা মহানগর ল, কলেজ আওয়ামীলীগের আইন ছাত্র পরিষদের দপ্তর সম্পাদক এর পরিচয় দিয়ে প্রকাশে ও মোবাইলে আমাদেরকে হুমকি প্রদান করছে এবং বলছে তোদেরকে রোহিঙ্গাদের মতো ঘর বাড়ী জালিয়ে দিয়ে বাপ, দাদার ভিটা মাটি থেকে উচ্ছেদ করবো ও দেশ ছাড়া করবো। তার নামে সাতক্ষিরা সদর থানায় জি,ডি নং ১৫/৬৪, সহ সাতক্ষিরা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১টি হুমকির মামলা আছে। মামলা নং ৪১৬/১৯, তারিখ ঃ ১৮/০৬/১৯। পলাশ মাহমুদের হুকুমে ২০/০৫/২০১৯ তারিখ আমাদের বসত ভিটা জোর পূর্বক দখল করতে যায় তার মেজভাই বিএনপির নেতা শরিপ, জামাত নেতা রবিউল ও তার দলের সঙ্গীরা। আমরা বাধা প্রদান করতে গেলে আমার মেঝ ভাই শওকত এর মাথায় দা দিয়ে কোপ মারে। ভাইপো ইমদাদের মাথায় লোহার রড দিয়ে বাড়ি মারতে গেলে সে হাত দিয়ে ঠেকাইতে গেলে তার ডান হাতের কোপজি ভেঙ্গে যায়। আমার ভাইপো আবির কে মারার সময় ঠেকাইতে গেলে তার মায়ের ডান হাত রডের আঘাতে ভেঙ্গে যায়। আমার ভাই আবুল মেম্বার কে মারতে গেলে আমার ভাইয়ের স্ত্রী ঠেকানোর এক পর্যায়ে তার মাথায় রডের আঘাতে মাথা ফেটে যায়। তাৎক্ষনাত তাদেরকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিংসার জন্য প্রেরন করা হয় এবং কিছুদিন চিকিংসা নেওয়ার পর তারা সকলেই সামান্ন সুস্থ হয়ে বড়িয়ে ফিরে আছে। এই ঘটনায় আশাশুনি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। যাহার মামলা নং ২৫/১৯, এবং বিভিন্ন সময় উপরোক্ত লোক দ্বারা আমাদের কাছে চাঁদা চাইতো আমরা চাঁদার টাকা না দেওয়ার কারনে আমাদের নিজ নামীয় ধানের জমি হইতে জোর পূর্বক ধান কাটিয়া নেয়। এর ব্যাপারে সাতক্ষীরা জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে জোর পূর্বক ধান কাটা ও চাঁদাবাজীর মামলা হয়েছে, মামলা নং ৫৯/১৯। এখনও বিভিন্ন সময় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে আমাদের ৩ ভাইয়ের জমি ও ঘের দখল করে নেবে বলে হুমকি দিচ্ছে। সাতক্ষিরা ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্টে হুমকির একটা মামলা দায়ের করা হয়েছে, মামলা নং ২৬৩/১৯। আমি ও আমার ২ ভাই এই ব্যাপারে তদন্ত পূর্বক সঠিক বিচাররের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রধান মন্ত্রি জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট সুষ্ট ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সদয় বিবেচনা কামনা করছি।
মোঃ শরিফুল ইসলামের জীবন বৃত্তান্ত ঃ-
* পেশা ঃ দখলবাজী, চাঁদাবাজী, মাদক ও অস্ত্র ব্যবসা।
রাজনৈতিক জীবন ঃ
* ১৯৯০ সাল থেকে প্রতাপ নগর ইউনিয়ন বিএনপির যুবদলের সদস্য।
* ১৯৯৭ সালে প্রতাপ নগর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সাধারন সম্পাদক।
* ২০০২ সালে প্রতাপ নগর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক।
* ২০০২ সাল হইতে প্রতাপ নগর ইউনিয়ন বিএনপির যুবদলের সাধারন সম্পাদক পদে বহল আছে।
* ১৯৯০ সাল হইতে থেকে এখন পর্যন্ত এলাকার প্রভাবশালী লোকের ছত্র ছায়ায় চাঁদাবাজী, দখলবাজী, মাদক ও অস্ত্র ব্যবসা করছে।
বিভিন্ন সময়ে তার জীবনের মামলা সমূহ ঃ
* ১৯৯৫ সালে অস্ত্র মামলা নং ০১/৯৫, তারিখ ০৫/০২/১৯৯৫, কালিগঞ্জ থানা।
* ১৯৯৮ সালে চাঁদাবাজী ও অপহরন মামলা নং – ৬১/৯৮, তারিখ ৩১/০৩/১৯৯৮, খুলনা সদর থানা।
* ২০১৭ সালে এ্যাটেম টু ম্যাডার মামলা নং ১৭/১, তারিখ ৩১/০৭/২০১৯, আশাশুনি থানা।
* ২০০৪ সালে মাঝের হ্যাচারী ভাংচুর মামলা নং ১৫/০৪, তারিখ ২১/০২/২০০৪, আশাশুনি থানা।
* ২০১৯ সালে এ্যাটেম টু ম্যাডার মামলা নং জি,আর ১০৭/১৯, তারিখ ২৩/০৫/২০১৯, আশাশুনি থানা।
* ২০১৯ সালে হুমকি মামলা নং ৪১৬/১৯, তারিখ ১৮/০৬/২০১৯, আশাশুনি থানা।
* ২০১৯ সালে জি,ডি নং ৪১৬/১৯, তারিখ ১৮/০৬/২০১৯, আশাশুনি থানা।
এছাড়া তার নামে জানা অজানা আরও অনেক মামলা আছে সে লোগী বৈঠা আন্দোলনের সময় সাতক্ষীরা ও ঢাকায় বিভিন্ন স্থানে বিএনপির পক্ষে তান্ডব ও হামলা চালায়। শরিফের পিতার তেমন কোন জায়গা জমি নাই। সে নিজের এলাকায় বিভিন্ন বখাটে ছেলেদের সাথে মিশে মদ, গাজা, খেতো টাকার অভাবে এলাকার বিভিন্ন লোকের ঘেরের মাছ, ধান, হাস, মুরগি চুরি করত। এর পর তার বড় চাচার গোয়াল থেকে এড়ে গরু চুরি করে বিক্রয় করার সমায় হাতেনাতে ধরা পড়ে গ্রামবাসী মারধোর করার পর সে গ্রাম ছেড়ে তার বড় বোন এর বাড়িতে চলে যায়। তার বড় বোনের বাড়ী কয়রা থানার চৌকুনি গ্রাম সুন্দারবনের পার্শ্বে। দির্ঘদিন বোনের বাড়িতে থেকে সুন্দরবনের ডাকাত দলের সরদার ছাকাত এর সাথে পরিচয় হয়। পরে সে সুন্দরবনে ডাকাতি করতে শুরু করে। দির্ঘ্য কয়েক বছর সুন্দরবনে ডাকাতি করার পর সে ১৯৮৮ সালের দিকে গ্রামে পুনরায় ফিরে আসে। এরপর প্রতাপ নগর ইউনিয়নের জামাতি ইসলাম এর সদস্যপদে যোগ দেয়। তার জীবন বৃত্তান্ত যেনে জামাতি ইসলাম তাকে দল থেকে বাদ দেন। তার পর সে ১৯৯০ সালে প্রতাপ নগর বিএনপি তে যোগদান করেন এবং সদস্যপদ পায়। এরপর সে জমি দখল, মাছের ঘের দখল, চাঁদাবাজী, মাদক ও অস্ত্র ব্যবসার শুরু করেন। এলাকার প্রভাবশালী লোকের ছত্র ছায়ায় থেকে সে বহল তবিয়াতে আশাশুনি থানার প্রতাপ নগর ইউনিয়নের নাকনার মাথা চেয়ারম্যান বাজারে বর্তমানে নিজস্ব গোপনীয় স্থানে নিজ ক্ষমতার বলে চাদাবাজী, মাদক ও অস্ত্র ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। শরিফ বর্তমানে এই ব্যবসার পাশাপাশি মাছের ঘের ও ডিস লাইনের ব্যবসা ও করে। বর্তমানে যে ঘেরটি করে সেটা ও সরকারী ওয়াবদার ডি সি আর এর জমি। গোকুলনগর গ্রামের ওয়াবদার ডি সি আর এর জমির দলপতি কোপাত মোড়ল গ্রামের নিরিহ লোকজন ডিসিআর কেটে ঘের করে খেত। শরিফ, কোপাত মোড়ল ও তার দলের লোকদের কাছে থেকে লিজচুক্তি তিন বছরের ডিড করে নেয়। এক বছর ঐ জমির হারী দেয় এর পর থেকে শরিফ, কোপাত মোড়ল সহ তার লোকদের ঐ জমির আজ পর্যন্ত হারির টাকা দেয় নাই। জোর পূর্বক ক্ষমতার বলে দখল করে খাচ্ছে। এমনকি ওয়াবদার জমি বিক্রয় করে অর্থ আত্মসাত করছে। প্রতাপ নগর গ্রামের আমিনুর রহমান এর সাথে সেয়ারে ডিস লাইনের ব্যবসা করতো কৌশলে শরিফ ও তার ছেলে বিথার বাবু ডিস লাইনের ভাড়ার টাকা নিয়ে আমিনুর এর সাথে গোলমাল করে। আমিনুরকে ডিস লাইন ব্যবসা থেকে তাড়িয়ে দেয়। আমিনুর ১,৭৫,০০০/- টাকার তার ফেলে চলে যায়। আমিনুর এলাকার বিভিন্ন লোকের কাছে বিচার দেয় কিন্তু এলাকার লোকদের শরিফ বিভিন্ন মারফত হুমকি প্রদান করায় আজ পর্যন্ত তার কোন বিচার হয় নাই।
শরিফের বিবাহিত জীবন বৃত্তান্ত ঃ
প্রথম বিবাহ গোকুল নগর গ্রামের মিস্ত্রী সাহাদাত আলীর মেয়ে খানজু কে বিবাহ করেন। ২-৩ বছর সংসার করার পর ভারতে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে ভারতে নিয়ে খানজুকে প্রসকটারে বিক্রয় করে দেন। অনেক খোজাখুজির পরও আজ পর্যন্ত তার কোন খবর পাওয়া যায় নাই।
দ্বিতীয় বিবাহ কয়রা থানার গাবুরা গ্রাম, যেখানে সুন্দরবনের ডাকাতদের বসবাস। ডাকাত দলের সরদার ছাকাত বাহিনীর প্রধান ছাকাতের আত্মিয়ের মেয়ে শরিফুন নেছাকে বিবাহ করেন। কয়েক বছর সংসার করার পর শারিরিক ও মানষিক নির্যাতনের কারনে একটি ছেলে সন্তান রেখে চলে যায়। ছেলেটির ডাকনাম বাবু। শরিফের ছোট স্ত্রীর নির্যাতনের কারনে বাবু গ্রাম ছেড়ে চলে যায়। বাবু তার খুলনায় চাচাতো বোনের বাসায় থেকে দিনমুজুরি করে ও পড়ালেখা করে।
তৃতীয় বিবাহ শ্যামনগর থানার নবেকে গ্রামের ছহিল উদ্দিন সরদার এর মেয়ে আকলিমা খাতুন এর সাথে বিবাহ হয়। শরিফের এর জীবন বৃত্তান্ত জানার পর আকলিমা তার সংসার ছেলে চলে যায়। শরিফ দির্ঘ্যদিন যাতৎ বিবাহ করেন না পরবর্তীতে আবার ও চতুর্থ বিবাহ করেন নপাড়া, যশোর, মোংলা, বানিয়াসান্তা প্রসকটারে নিজের যৌন ত্রিপ্তি মেটানোর জন্য যাতায়ত করতো। মোংলা বানিয়াসান্তা শরিফের চতুর্থ স্ত্রী নাজমার সাথে পরিচয় হয়। তারপর সে নাজমাকে কৌশলে প্রসকটার থেকে বের করে এনে বিবাহ করে। নাজমার ছোট বোন ও মেজ বোন পতিতাবৃত্তি করে। নাজমা এতবড় দুরচরিত্রহীন মহিলা যে গ্রামের বিভিন্ন ছেলেদের সাথে অবৈধ সম্পর্ক করে। শরিফ জানতে পেরে তাকে বহুবার মারধোর করেন। এমনকি গ্রাম ডাক্তার ইউসুফ আলীর সাথে অবৈধ সম্পর্কে লিম্প ছিল এবং আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়ে। শরিফ সেই গ্রাম ডাক্তার ইউসুফ আলীকে গ্রাম ছাড়া করে।
মোঃ রবিউল ইসলাম রবির জীবন বৃত্তান্ত, সে ও তার ভাইয়ের মত প্রতাপ নগর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের জামাতি ইসলাম এর কর্মি বয়স ঃ ৪৫, তিনি ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত পড়াশুনা করেন। সে পড়াশুনা বাদ দিয়ে এলাকার বখাটে ছেলেদের সাথে মিশে গ্রামের বিভিন্ন লোকের মাছের ঘের থেকে মাছ চুরি করে। একদিন তার বউ ও ছেলে ছোট বাবু গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তি ইউনুস গাজীর ঘেরের মাছ চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে। ইউনুস গাজী তাদের তিনজন কে ধরে পিঠমোড়া দিয়ে বেধে গকুলনগর প্রাইমারী স্কুল মাঠে মারপিট ও জরিমানা করে ছেড়ে দেয়। কিছুদিনের জন্য লজ্জায় গ্রাম ছেড়ে চলে যায়। ফিরে এসে সেই চুরির কাজেই লিম্প আছে। রবি একজন বাজে ও দুঃচরিত্রের লোক গ্রামের মহিলাদের সাথে অনেক লুচ্চামি করে। সে ২ মাস আগে পাশের বাড়ীর আনসার মোড়লের প্রতিবন্ধী বোবা মেয়েকে জোর পূর্বক ধর্ষন করার সময় বোবা মেয়েটির আউমাউ চিৎকারে আশপাশের লোকজন হাজির হয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে এবং রবিকে আটকে রাখলে পরবর্তিতে তার আত্মিয় স্বজন এসে অনুরোধ ও বিনয় করে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। রবি তার ভাই শরিফের মাদক ও অস্ত্র ব্যবসার সাথে জড়িত আছে। সে সাতক্ষিরা জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মাদক ও অস্ত্র এনে ব্যবসার জন্য তার ভাই শরিফ কে দেয়। রবির নামে সাতক্ষিরা ম্যাজিস্টেট কোর্টে ১টি হুমকি মামলা আছে। মামলা নং – ৪১৬/১৯, তারিখ ১৮/০৬/২০১৯, সাতক্ষিরা, আশাশুনি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট কোর্টে চাদাবাজী ও জোরপূর্বক ধান কাটার মামলা আছে। মামলা নং ৫৯/১৯, তারিখ ০৫/০৫/২০১৯ ইং। আশাশুনি থানায় এ্যাটেমটু মাডার মামলা আছে। মামলা নং জি,আর ১০৭/১৯, তারিখ ২৩/০৫/২০১৯ ইং। এছাড়া আশাশুনী থানায় তার নামে একাধিক অভিযোগ ও জিডি আছে। রবি দুঃচরিত্র, সন্ত্রাসী, দাংগাবাজ কাজের সহিত অতুপ্রত ভাবে লিম্প।
মোঃ আছাদুল ইসলাম আছাদের জীবন বৃত্তান্ত,, সে ও তার ভাইয়ের মত প্রতাপ নগর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের জামাতী ইসলামের কর্মি ছিল ও সাঈদী মুক্তির আন্দোলনের টাকার যোগানদাতা এবং তার নামে সাতক্ষিরা নির্বাহী ম্যাজিঃ আদালতে ১টি হুমকির মামলা আছে মামলা নং ৪১৬/১৯, তারিখ ১৮/০৬/২০১৯, বয়স ঃ ৪০, তিনি ৮ম শ্রেনী পর্যন্ত পড়াশুনা করেন। পড়াশুনা বাদ দেওয়ার পর তিনি বিভিন্ন চুরির কাজের সাথে জড়িত থাকেন। গ্রামের বাবুর মাছের ঘেরের থেকে মাছ চুরি করার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে। মারধোর খেয়ে গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় চলে যায়। সেখানে দিনমুজুরি করে খেত। তার ভাই পলাশ মাহমুদ তার চাকুরির জন্য এস এস সি ও এইচ এস সি জাল সার্টিফিকেট তৈরি করে দেয়। বর্তমানে সে ঢাকা ইপিজেড এ চাকুরিরত অবস্থায় আছে।
মোঃ মফিজুল ইসলাম এর বোন ফিরোজা আক্তার সালমার জীবন বৃত্তান্ত, সে দুস চরিত্র বাজে মহিলা। সে পড়াশুনা করার সময় পার্শ্বের গ্রাম প্রতাপ নগর আব্দুল ওহাবের সাথে ভালবাসা করে ও অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হয়। দির্ঘ্যদিন মেলামেশার করার একপর্যায়ে গ্রামের লোকের কাছে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়ার পর গ্রামের লোকজন তাদের বিবাহ দিয়ে দেয়। আব্দুল ওহাব চাকুরী করতো সে সব সময় বাড়িতে থাকতে পারতো না। সেই সুযোগে সালমা গ্রামের বিভিন্ন ছেলেদের সাথে শারিরিক কাজ কর্মে লিপ্ত হত। তার স্বামী এই সব খারাপ কাজের কথা জানতে পেরে বিভিন্ন সময় তাকে মারপিঠ করতো। এর পর সাতক্ষিরা শহরে বাসা ভাড়া নিয়ে বর্তমানে আব্দুল ওহাব পেরালাইন্স অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছে। এই সুযোগে সালমা পতিতাবিত্তি, মাদক ব্যবসা ও ভারতে নারী পাচার করে এই বিষয়ে তাকে এলাকার লোকজন বাধা দিতে গেলে তিনি তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করে যার কারতে তার নামে সাতক্ষিরা সদর থানায় ১টি জিডি আছে। জিডি নং ১৫/৬৪, তারিখ ২৮/০৫/২০১৯।