তানোরে জালিয়াতি করে কলেজ এমপিও ভুক্তকরণ !
তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরের কাঁমারগা ইউপির মাদারীপুর আইডিয়াল কলেজ অধ্যক্ষ ইসরাফিল চৌধূরীর বিরুদ্ধে অনিয়ম-দূর্নীতি, অর্থ আতœসাত ও জালিয়াতি করে কলেজ এমপিওভুক্তকরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। চলতি বছরের ২৮ জুলাই রোববার সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রায় শতাধিক মানুষের স্বাক্ষর সংবলিত একটি লিখিত অভিযোগ শিক্ষা মন্ত্রণালয়, চেয়ারম্যান দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদুক) ও রাজশাহী জেলা প্রশাসকের (ডিসি) বরাবর প্রেরণ করেছেন। অন্যদিকে বিগত ২০১০ সালে এ্যাডঃ মুহাম্মদ আলিম চৗধূরী বাদি হয়ে কলেজ অধ্যক্ষ ইসরাফিল আলম চৌধূরীসহ ৬ জনকে বিবাদী করে অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি প্রতারণার মামলা করেছেন। যাহার মামলা নম্বর ৩২৮/ ২০১০ তানোর ধারা ৪২০/ ৫০৬(॥)/ ৪৬৭/ ৪৬৮/ ৪৬৯/ ৪৭০/ ৪৭১/ ১০৯ দঃ বিঃ। আর অভিযোগের খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যর সৃুষ্টি হয়েছে। এদিকে কলেজ অধ্যক্ষ ইসরাফিল অভিযোগ ধাঁমাচাঁপা দিয়ে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে ক্ষমতাসীন দলের এক বগী নেতার মাধ্যমে বড় অঙ্কের অর্থ নিয়ে বিভিন্ন মহলে দৌড়-ঝাপ শুরু করেছে। সরেজমিন অনুসন্ধান করলেই অধ্যক্ষ ইসরাফিলের বিরুদ্ধে উঙ্খাপিত অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে বলেও অভিযোগে বলা হয়েছে। অন্যদিকে জালিয়াতির মাধ্যমে কলেজ এমপিওভুক্তকরণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, তানোরের কাঁমারগা ইউপির মাদারীপুর গ্রামে বিগত ১৯৯৯ সালে রাজনৈতিক বিবেচনায় মাদারীপুর আইডিয়াল কলেজ স্থাপিত এবং নীতিমালা লঙ্ঘন ও জালিয়াতি করে কলেজটি এমপিওভুক্তকরণ করা হয়েছে। কিšত্ত কলেজে প্রয়োজনীয় অবকাঠানো ও শিক্ষার্থী এমনকি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সুযোগ-সুবিধা না থাকলেও ৩৩ জন শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছে যারা সরকারী বেতনভাতা উত্তোলন করে চলেছে। এদিকে কলেজ অধ্যক্ষ ইসরাফিল চৌধূরী কলেজের অস্থিত্ব ধরে রাখতে ভূয়া শিক্ষার্থীর নাম ব্যবহার, কলেজ এমপিওভূক্ত করণের নামে শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছে থেকে মাথাপিছু প্রায় ৩ লাখ টাকা করে আদায় ও জাল দলিল সৃষ্টি করে কলেজের নামে ৮৩ শতক সম্পত্তি দেখিয়েছেন যার মধ্যে ৬৪ শতক সম্পত্তি দেখানো হয়েছে জাল দলিল সৃষ্টি করে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। সূত্র জানায়, মাদারীপুর আইডিয়াল কলেজের নামে মাদারীপুর মৌজায়, ৪০৫ নম্বর দাগে. ৩২৯ হিসাব নম্বরে প্রায় ৫২ শতক সম্পত্তি ১৯৯৯ সালে ৫০২৪ নম্বর দলিল রেজিষ্ট্রি দেখানো হয়েছে। আর দলিলে তানোর সাবরেজিস্ট্রার এমএ হামিদের স্বাক্ষর দেখানো হয়েছে। কিšত্ত খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, তানোর সাবরেজিস্ট্রার অফিসে এমএ হামিদ নামের কোনো সাবরেজিস্ট্রার কখনই দায়িত্বপালন করেননি। তানোর সাবরেজিস্ট্রার অফিসে খোজ নিয়ে দেখা গেছে, তানোরের নবনবী মৌজায় ৫০২৪ নম্বর দলিলের সম্পত্তি রয়েছে। ফলে অধ্যক্ষ ইসরাফিলের ৫০২৪ নম্বর ও সাবরেজিস্ট্রার এমএ হামিদ স্বাক্ষরিত দলিলটি জাল বলে জানানো হয়েছে। এলাকাবাসি কলেজ এমপিওভুক্ত করণের পূর্বে সরেজমিন কলেজ পরিদর্শন ও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে উঙ্খাপিত অভিযোগের তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার অভিযোগ করেছেন, তার পরেও অজ্ঞাত কারণে এসব অভিযোগ ধাঁমাচাঁপা দিয়ে কলেজ এমপিওভুক্তকরণ করা হয়েছে। এব্যাপারে কলেজ অধ্যক্ষ ইসরাফিল চৌধূরী সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, একটি মহল তার কলেজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে,তারাই এসব অভিযোগ করতে পারে যা সত্য নয়। এব্যাপারে কলেজ সভাপতির সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেস্টা করা হলেও মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এব্যাপারে তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসরিন বানু বলেন, তিনি এখানো এমন কোনো অভিযোগ পাননি, তবে যেহুতু অভিযোগ উঠেছে,সেহুতু বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি।