ভূঞাপুর পিতার সামনে রেখে ২ মেয়েকে গণধর্ষণ
সুমন ঘোষ: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে এক সংঘবদ্ধ ডাকাতদল নৌকা থামিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে পিতার সামনে তার দুই মেয়েকে গণধর্ষন করা হয়েছে। গত ১৩এপ্রিল রাত ৮টার দিকে উপজেলার গাবসারা চরাঞ্চলে রুহুলীপাড়ায় এঘটনা ঘটে। এঘটনায় ধর্ষিত মেয়ে দুটির বাবা ময়চান আলী বাদি হয়ে গতকাল রবিবার রাতে ৫জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো তিনজনকে আসামী করে ভূঞাপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৩এপ্রিল বৈশাখ উপলক্ষে ময়চান আলীসহ তার দুই মেয়ে বাড়িতে বেড়াতে যান। এরা দুইজনই ঢাকার একটি সোয়েটার ফ্যাক্টরীতে কাজ করতো। ওইদিন উপজেলার গোবিন্দাসী থেকে নৌকাযোগে গাবসারার বেলটিয়াপাড়া যাওয়ায় সময় সংঘবদ্ধ ডাকাতদল তাদের পথ গতিরোধ করে। এ সময় তাদেরকে নৌকা থেকে নামিয়ে অন্য একটি নৌকাযোগে অন্যত্র ফাঁকা জায়গায় নিয়ে ময়চান আলীর সামনে তার দুই মেয়েকে গণধর্ষন করে। পরে তাদের পরনো থাকা দেড় ভরি স্বর্ণলঙ্কার, নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পরের দিন ডাকাত দলের অন্যতম সদস্য সাইদুল ধর্ষিত মেয়েদের বাড়িতে গিয়ে মোবাইল ফিরত দিয়ে ঘটনাটি যাতে প্রকাশ না হয় তার জন্য তাদেরকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়। পরে ধর্ষণের ঘটনায় মেয়ে বাবা বাদি হয়ে আকাব্বর আলীর ছেলে নৌকা চালক সুজাল (২৮), চরবিহারী গ্রামের সুরমানের ছেলে রকমান (২২), পাষাণ মন্ডলের ছেলে নজরুল (৩০), আব্দুর রশিদের ছেলে আসাদুল (৩০) ও চান মিয়ার ছেলে সাইদুল এর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৩জনের নামে ভূঞাপুর থানায় গতকাল রবিবার রাতে মামলা দায়ের করে। এ দিকে ধর্ষণের ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে আজ সোমবার প্রায় ৬ শতাধিক স্থানীয় লোকজন অভিযুক্ত ডাকাতদের বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। মামলার বাদী ময়চান আলী জানান, এখনো ডাকাতরা আমাকে ভয় ভীতি দেখাচ্ছে। আমি আমার জানের নিরাপত্তা চাই সেই সাথে ধর্ষণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। এ ব্যাপারের ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফজলুল কবিরের জানান, দোষীদের ধরতে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে। গতকাল রবিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে কোন আসামীকে ধরতে পারেনি। তবে খুব দ্রুত গ্রেফতার করে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।