সৈয়দপুর উপজেলা ছাত্রলীগ অফিসে মাদক ব্যবসার অপরাধে সভাপতিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
মোতালেব হোসেন, নীলফামারী অফিস: সৈয়দপুর উপজেলা ও পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক গত ২৭ই জুলাই যৌথ সংবাদ সম্মেলনে লিথিত বক্তব্যে সৈয়দপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নজির হোসেনের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ অফিসে মাদক ব্যবসা , মাদক সেবন, চাঁদাবাজী, ছাত্রলীগ অফিসে অনেককে জীম্মি করে মারডাং ও চাঁদা আদায়সহ নানাবিধ কুকর্মের অপরাধে তাকে অবাঞ্ছিত করে সেই সাথে তার সকল অপকর্মকে প্রতিরোধ ও প্রতিহত করার ঘোষণা দেন। এ ব্যাপারে মাঠ পর্যায়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক মাদক সেবির সঙ্গে কথা বলে জানা যায় শহরে হাত বাড়ালেই সহজেই পাওয়া যাচ্ছে মাদক।নজির হোসেন মাদক সিন্ডিকেটের একজন দ্বিতীয় সারির হোতা।শহরে বর্তমানে প্রথম সারির মাদক স¤্রাট হচ্ছেন ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান বিতর্কিত এক যুবলীগ নেতা যিনি শহরে গড়ে তুলেছেন মাদক সিন্ডিকেটের এক বিশাল সাম্রাজ্য।তিনি একজন যুদ্ধাপরাধীর সন্তান হয়েও মাদকের টাকায় প্রভাব খাটিয়ে ছাত্রলীগ থেকে যুবলীগ এমনকি যুবলীগ থেকে আওয়ামীলীগের পৌর কমিটিতেও সদস্যপদ পেয়েছেন। যেকোনো এমপি বা মন্ত্রী আসলে তাদের ডানে ও বামে তাকে দেখা যায়। শহরের বড় বড় মোড়ে বছরের পর বছর তার বিলবোর্ড ও তোরণ শোভা পাচ্ছে। এই সকল মাদক সিন্ডিকেটের সদস্যরা সবাই সৈয়দপুরের ভাইজান বাহিনীর ক্যাডার। এতোসব অপকর্ম করেও শুধু ভাইজান বাহিনীর ক্যাডার হওয়ার কারনে এরা সবসময় পার পেয়ে যায়। এদের হাতে একাধিক আওয়ামীলীগ নেতা বহুবার লাঞ্ছিত হয়ে অবশেষে নেতারা একজোট হয়ে মুখ খুললেন দলের ভাবমুর্তি রক্ষার সার্থে। এ ব্যাপারে নজির হোসেনের মোবাইল নাম্বারে (০১৯৫১১১৭৪৪৮) একাধিকবার যোগাযোগ করেও মোবাইল বন্ধ থাকার কারনে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।