জামালপুরে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি, ত্রাণের জন্য হাহাকার

ওসমান হারুনী.জামালপুর প্রতিনিধি: পানি কমতে শুরু করায় জামালপুরের বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। রবিবার সকালে যমুনার বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ১১০ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এক সপ্তাহ ব্যাপি পানি বন্ধী লাখ লাখ মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। জামালপুরের স্বরণকালের ভয়াবহ বন্যায় জেলার ৭উপজেলায় ৬লক্ষাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকা মানুষের মাঝে ত্রাণের জন্য হাহাকার চলছে। শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও গো খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যা পানিতে নৌকা দেখলেই হাত বাড়িয়ে ডাকছে পানিবন্ধী ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার।
“এই যে আজকে আইছে”গত ৭দিন ধরে পানিতে ভাসছি;কেউ খুজঁ নেইনি,ত্রাণ দিতে আসেনি। শনিবার নৌকা যুগে জেলার সবচেয়ে বেশী বন্যা কবলিত এলাকা সরেজমিনে গেলে ইসলামপুর উপজেলা পশ্চিমাঞ্চলের বন্যা কবলিত এলাকা চিনাডুলী ইউনিয়নের উত্তর সিংভাঙ্গা গ্রামের মাহমুদ বেগম,কালী বেগম,হেনা বেগম,তোতা শেক,আছিয়া বেগম ও রাবেয়া খাতুনসহ আরো অনেকেই এভাবে অভিযোগ করে কথা গুলো বলেন। এক সপ্তাহ ব্যাপি পানি উপজেলার পৌর শহর সহ ১২ইউনিয়নের বন্ধী লাখ লাখ মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। স্বরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ইসলামপুর উপজেলা লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকা মানুষের মাঝে ত্রাণের জন্য হাহাকার চলছে। শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও গো খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যা পানিতে নৌকা দেখলেই হাত বাড়িয়ে ডাকছে পানিবন্ধী ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার। প্রশাসন ও ব্যাক্তি উদ্যোগে বন্যা কবলিত এলকা প্রতিদিনই যে পরিমান ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে তা প্রয়োজনীয় তুলনায় অপ্রতুল বলে জানিয়েছেন বানভাসী এলাকার জন প্রতিনিধি ও বন্যা কবলিত মানুষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *