অনিয়ম, ভাংচুর ও কেন্দ্র দখলের মধ্যে সিটি নির্বাচন

vote 8888ঢাকা : ব্যাপক অনিয়ম, ভাংচুর ও কেন্দ্র দখলের মধ্য দিয়ে চলছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন।

নিজের ভোটটিও দিতে পারলেন না কাউন্সিলর প্রার্থী:

নিজের ভোটটিও দিতে পারলেন না ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আবু জুবায়ের।

ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তিনি দেখেন তার ভোটটি কে বা কারা দিয়ে দিয়েছে।

পরে প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে তিনি অভিযোগ দায়ের করেন।

১৯ নম্বর ওয়ার্ডে তিনি করাত প্রতীক নিয়ে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।

এছাড়া রাজধানীর নাখালপাড়া কেন্দ্রে অনেক ভোটার ভোট দিতে গিয়ে দেখেন আগেই তাদের ভোট প্রদান করা হয়ে গেছে। তাদের ভোটার আইডি কার্ড ও ভোটার নম্বর মিলিয়ে দেখা যায়, তার ভোট আগেই দেয়া হয়ে গেছে।

ভোট না দিতে পেরে ফিরে আসা অনেক ভোটার এমন অভিযোগ করেছেন।

আবার অনেকের অভিযোগ, তাদের ভোটার নম্বর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে ভেতর থেকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।

ভোটকেন্দ্রে ব্যালট পেপার নেই!
ভোটকেন্দ্র থেকে ব্যালট পেপার নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন খোদ প্রিজাইডিং অফিসার।
খিলগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসার রুহুল আমিন জানান, ওই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরুর আগেই সব ব্যালট পেপার নিয়ে গেছে কিছু যুবক। তবে তাদের পরিচয় সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেননি তিনি।
এ দিকে, ওই কেন্দ্রের বাইরে ভোটারদের সারিবদ্ধ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। কেন্দ্রে কোন ব্যালট পেপার না থাকায় তারা কেউ ভোট দিতে পারেন নি।

আনসারের পোশাকে ছাত্রলীগ:
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৩৬ নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর প্রতীক “ঘুড়ি” ব্যাজ লাগিয়ে ও আনসার বাহিনীর পোশাক পরে ভোট কেন্দ্রে অবস্থান করছে ছাত্রলীগ কর্মীরা।
ছাত্রলীগ কর্মীরা “আদর্শ ঢাকা আন্দোলনের” সমর্থিত প্রার্থী মাওলানা সালেহ সিদ্দিকীর লাটিম প্রতীকের নির্বাচনী এজেন্টদেরকে মারধর করে বের করে দিয়েছে। এমনকি তাদেরকে নির্বাচন কেন্দ্রের বাহিরেও দাঁড়াতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
লাটিম প্রতীকের এজেন্টদের অভিযোগ, ৩৬ নং ওয়ার্ডের ৬টি কেন্দ্রের বাহিরের পরিবেশ ভাল দেখালেও অধিকাংশ বুথে মেয়র প্রার্থী আনিসুল হকের ঘড়ি, কাউন্সিলর প্রার্থী খোকনের ঘুড়ির ব্যাজ লাগিয়ে ও আনসারের পোশাক পরে ছাত্রলীগ কর্মীরা অবস্থান গ্রহণ করছে।
ছাত্রলীগের রমনা সভাপতি মাসুদের নেতৃত্বে শতাধিক ছাত্র, যুব ও শ্রমিকলীগের কর্মীরা ভোর বেলা থেকে বিটিসিএল আইডিয়াল (টি এন্ড টি স্কুল) কেন্দ্রের ২৯ টি বুথে অবস্থান করে।
সকাল ৭টায় লাটিম প্রতিকের এজেন্টরা প্রিজাইডিং অফিসারের নিকট পোলিং এজেন্ট নিয়োগ ফরম জমা দিয়ে বিভিন্ন বুথে বসতে গেলে ভেতরে অবস্থানরত ছাত্রলীগ কর্মীরা আইন-শৃঙ্খলা বহিনীর সামনে এজেন্টদের মারধর করে কাগজপত্র রেখে তাড়িয়ে দেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *