দেব হত্যার এক বছর পুর্ণ হলেও আটক হয়নি প্রধান ২ আসামি।
হেলাল উদ্দিন, দৌলতপুর,(কুষ্টিয়া):৯ জুন ২০১৯ইং আলোচিত শিশু দেব দত্ত হত্যার এক বছর পুর্ণ হলেও প্রধান দুই খুনি এখনও আটক হয়নি। মুক্তিপনের দাবীতে অপহরণের পর নৃশংসভাবে হত্যার শিকার স্কুলছাত্র শিশু দেব দত্ত(৯) মামলায় ৫ জনকে আসামি করে কুষ্টিয়া আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে মিরপুর থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল আলিম। এক বছরেও আলোচিত হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামি আটক না হওয়ায় ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। দেব উপজেলার চিথলিয়া গ্রামের ধুবইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পবিত্র দত্তের একমাত্র পুত্র। মিরপুর থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল আলিম জানান, পলাতক আসামি গ্রেফতারে ইন্টারপোলসহ পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলোঃ উপজেলার চিথলিয়া ইউপি’র চিথলিয়া গ্রামের মালিথা পাড়ার আনছার আলীর ছেলে এরশাদ আলী(২২), একই পাড়ার আমান আলী মুন্সীর ছেলে হাবিবুর রহমান ওরফে হাব্বুল(৩৩), তুফান মল্লিকের ছেলে সবুজ(২৩), আক্কাস আলীর ছেলে জোয়ার হোসেন(২৩) ও জহুরুল ইসলামের ছেলে নাঈম ইসলাম(২২)। এর মধ্যে জোয়ার হোসেন ও নাঈম ইসলাম পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। সবুজ বর্তমানে কুষ্টিয়া জেল হাজতে এবং হাবিবুর রহমান ওরফে হাব্বুল ও এরশাদ আলী পলাতক রয়েছে। দেব দত্তের পিতা পবিত্র দত্ত জানান, প্রধান দুই আসামি এরশাদ আলী এবং হাবিবুর রহমান ওরফে হাব্বুল পালিয়ে ভারতে অবস্থান করছে। দুই আসামিকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য ২০১৮ সালের ২ জুলাই ভারতীয় হাই কমিশনারের কাছে লিখিতভাবে আবেদন করেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত সে ব্যাপারে ইতিবাচক কোন সাড়া মেলেনি। ২০১৮ সালের ৯ জুন সকালে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার চিথলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির মেধাবী ছাত্র দেব দত্ত(৯) সকালে বাড়ীর পাশে তালিম মাষ্টারের বাড়িতে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় তাকে অপহরণ করে ৫০লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। অপহরণের ১৭ দিনের মাথায় ২৫ জুন দুপুর দেড়টায় কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাখাওয়াত হোসেনের নের্তৃত্বে নাঈমের বাড়ির শৌচাগারের ৪/৫ ফুট গভীরের কুয়ার মধ্য থেকে দেবের বস্তাবন্দি গলিত লাশ উদ্ধার করে।