রাজধানীর বনানী তে এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় বগুড়ার সান্তাহারে তালজিলা মৌলি মিথি আগুনে পুড়ে মারা গেছে

আদমদীঘি প্রতিনিধি: রাজধানীর বনানী তে এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের বশিপুর সরদার পাড়া মহল্লার বাসিন্দা অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান মাসুদের এক মাত্র কন্যা সন্তান তানজিলা মৌলি মিথি (২৪) আগুনে পুড়ে মারা যায়। তার লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসার পর থেকে চলছে শোকের মাতম। তিনি রাজধানীর মিরপুরে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। মিথির চাচা সালাউদ্দিন সরদার জানিয়েছে, মিথি ঢাকায় একটি ট্যুরিজম কোম্পানি তে চাকুরি করতেন। তার অকাল মৃত্যুতে সান্তাহার পৌর শহর জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বন্ধু -বান্ধব, আত্মীয় স্বজন ও প্রতিবেশি থেকে শুরু করে সবাই শোকে কাতর। এভাবে মিথির চলে যাওয়াটা কেউ মেনে নিতে পারছে না। আগুনে আটকা পড়া মিথি তার বাবা কে ফোন করেছিল আর ফোন করেছিলো তার স্বামী রিমন কে বলেছিলো আমাদের অফিসে আগুন লেগেছে আমি আগুনে আটকা পড়ে আসি। আমাকে বাঁচাও আমি বাঁচতে চাই। কিন্তু কিছুই করার ছিল না। বাবা বগুড়ার সান্তাহার থেকে যখন এসে পৌঁছায় ঢাকাতে ততক্ষনে তানজিলা মৌলি মিথি কুর্মিটোলা হাসপাতালে পুড়ে যাওয়া মরদেহ পড়ে আছে। পরে তার ভোটার আইডি কার্ড ও হাতের আংটি দেখে তার লাশ সনাক্ত করেন। প্রথমে তার লাশ ঢাকা মিরপুরে নিয়ে ১ম নামাজের জানাজা শেষে বগুড়ার সান্তাহারে বাদ জুম্মা ২য় জানাজা শেষে পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হয়।মিথির বিয়ে হয়েছে মাত্র ৮ মাস আগে। তার স্বামী রায়হানুল ইসলাম রিমন চাকুরি করেন ইউ এস বাংলা এয়ার লাইনে। মিথি নিজেও চাকরি করেন ট্যুরিষ্ট এ্যান্ড হেরিটেজ নামে একটি কোম্পানিতে। এফ আর টাওয়ারের ১০ তলায় অফিস। তানজিলা মৌলি মিথি সান্তাহার হার্ভে সরকারী বালিকা বিদ্যালয় থেকে ২০০৯ ইং সালে এস.এস.সি পাশ করে। পরে ঢাকায় গিয়ে এশিয়ান ইউনিভার্সিটির বিবিএ ৫১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। মিথির বাড়ি আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের বশিপুর সরদার পাড়া মহল্লায়। তার বাবা মাসুদুর রহমান মাসুদ পেশায় একজন আইনজীবী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *