ইজতেমায় গুজব ছড়ালে পরিণতি হবে ভয়াবহ: র্যাব ডিজি
অপরাধ তথ্যচিত্র ডেক্স: র্যাব মহাপরিচালক বলেছেন, ‘ইজতেমাকে কেন্দ্র করে স্যোসাল মিডিয়ায় কেউ গুজব ছড়ালে তাৎক্ষণিক কেউ বিশ্বাস করে শেয়ার দেবেন না। না জেনে না শুনে এবং চেক না করে গুজব শেয়ার দিলে তার পরিণতি হবে ভয়াবহ।’ তিনি বলেন, ‘বিশ্ব ইজতেমা ঘিরে তৃতীয় কোনও অপশক্তি সুযোগ না নিতে পারে সেই ব্যাপারে সচেতন রয়েছে র্যাব। দু’পক্ষের মতভেদ পুঁজি করে কোনও অপকর্ম বরদাস্ত করা হবে না। কেউ অপকর্মের চেষ্টা করলে তাদের নিশ্চিহ্ন করে দেয়া হবে।’ বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ব ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকের ব্রিফি করেন র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘৫৪তম বিশ্ব ইজতেমার জন্য আমরা প্রস্তুত। কিন্তু এবারের ইজতেমায় চ্যালেঞ্জটা একটু ভিন্ন। প্রতিবছর ইজতেমার নিরাপত্তায় যে ঝুঁকি থাকে এবার বাড়তি ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এখানে লক্ষ লক্ষ মানুষ আসবে- যদি কোনও দুর্ঘটনা ঘটে, শান্তিশৃঙ্খলার ঝুঁকি তৈরি হয় তাহলে সেটা মারাত্মক হতে পারে। এই বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবারের ইজতেমার নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। যে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে তা পর্যাপ্ত; এতে আশঙ্কার কোনও কারণ নেই।’ তিনি বলেন, ‘ইউনিফর্ম পরিহিত পোশাকের চেয়ে দিগুণ থাকবে সাদা পোশাক পরিহিত র্যাব। এ ছাড়া প্রতিটি খিত্তায় সিসি টিভি ক্যামেরা থাকবে। পাশাপাশি হেলিকপ্টার, নদীতে বোট, রাস্তায় জিপ এবং মোটরসাইকেলে টহল দেবে র্যাব।’ তাবলিক জামাতের সকল পক্ষকে অনুরোধ করে র্যাবপ্রধান বলেন, ‘তারা তো আল্লাহ হয়ে কাজ করেন। সেহেতু সকল ধরনের বিভেদ, মতভেদ ভুলে সবাই মিলে শান্তিপূর্ণভাবে এই ইজতেমা শেষ করবেন। দু’পক্ষের সঙ্গে বসেছি, টঙ্গীতে সভা করেছি। এরপর দশ দফা স্মারকচুক্তি হয়েছে। কীভাবে শান্তিপূর্ণভাবে ইজতেমা শেষ করা যায় তা নিয়ে বারবার আলোচনা হয়েছে। তাবলিগের যারা দায়িত্বশীল আছেন তাদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ থাকবে। যাতে কোথাও কিছু হলে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত আছি। যাতে করে কোনও সমস্যা না হয়। তাবলিগের দু’পক্ষের যারা দায়িত্বশীল আছেন তারা সমষ্টিগতভাবে দায়বদ্ধ থাকবেন এটাকে সুষ্ঠুভাবে শেষ করার জন্য। কোনও ব্যর্থতাকে আমরা বরদাস্ত করব না। যারা মুরব্বি আছেন তাদের সাহায্যের জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। এর আগেও আমরা সাহায্য করেছি। কারণ এই ইজতেমা ধর্মপ্রাণ মানুষের জন্য আলাদা অবস্থান রয়েছে। কোনও দায়িত্বশীলদের ভুলে বা মুরব্বিদের ভুলে কোনও পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তা বরদাস্ত করা হবে না।’ র্যাব ডিজি আরও বলেন, ‘এখানে বয়ান হবে, ইজতেমা করবেন, আখেরি মোতাজাত করবেন শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করবেন। একইভাবে দু’গ্রুপ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মাঠ ত্যাগ করবেন।’