ভুয়া-মুক্তিযোদ্ধা গাউছুর রহমান মুক্তিযোদ্ধা সনদ ও মুক্তিযোদ্ধার তালিকা নাম বাতিল চাঁন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা
অপরাধ তথ্যচিত্র ডেক্স: ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন না করে মুক্তিযোদ্ধার সকল সুযোগ-সুবিধা গ্রহন করে পুত্র-কণ্যাদের মুক্তিযোদ্ধা কোটার সুবিধা নিয়ে বি,সি,এস উওীর্ণ করছেন এবং তারা হচ্ছেন ৩১তম বি,সি,এস সিনিয়ার সহকারী প্রধান ইকনমিক ক্যাডারের আজিজুল হক ও পুলিশ ক্যাডারের এডিশনাল এস.পি সরকারের চাকুরীতে নিয়োজিত আছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন স্থানীয় মো: তমিজ উদ্দিন শেখ গত ৬ মে ২০১৮ মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজ্জামেল হক এর নিকট । তিনি বিষয়টি শুনানির জন্য জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে প্রেরণ করেন। গাউছুর রহমান,পিতা মৃত হোসেন আলী খান গ্রাম: উওর খামের,পোস্টআফিস:খামের,উপজেলা –কাপাসিয়া,জেলা-গাজীপুর মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রদান করে মুক্তিযোদ্ধার সাময়িক সনদ সংগ্রহ করেছেন এবং নাম সর্বশেষ মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় গেজেটভুক্ত করেন। সর্বশেষ মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় তাহার বেসামরিক মুক্তিযোদ্ধা ক্রমিক নম্বর-২৮৪৭ ভুক্ত করেন। উল্লেখ্য যে তাহার নাম পূর্ববর্তী কোন তালিকায় অর্থাৎ ভারতীয়,লালমুক্তিবার্তা,সবুজবার্তা ইত্যাদি সহ বঙ্গবন্ধু, বি.এন.পি, জাতীয়পার্টি ও আওয়ামীলীগ আমলের কোন তালিকায় ছিলনা। গত ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ অভিযোগের বিষয়ে শুনানীর সিদ্ধান্ত হয় যে তিনি শুনানির জন্য পর পর ৩ টি নোটিশ পাওয়ার সত্বেও হাজির হননি। স্থানীয় সাবেক থানা কমান্ডার সহ মুক্তিযোদ্ধারা সাক্ষী দেন, যে মুক্তিযুদ্ধ সময় কালিন তিনি কোথাও কোনও প্রশিক্ষন গ্রহন করেননি। যুদ্ধকালিন সময় বাড়ীতে অবস্থান করেছেন। গাউছুর রহমান প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নন,কোন যুদ্ধে অংশগ্রহন করেন নাই। ২০১৭ সালে উপজেলা যাচাই বাছাই কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী কমিটির সবাই সর্বসম্মত ভাবে সিদ্ধান্ত নেন যে, তিনি মুক্তিযোদ্ধা নন। তিনি যে মুক্তিযোদ্ধা নন এই মর্মে সনাক্ত করে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল সিদ্ধান্ত দাখিল করেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রতি চরম বিদ্রুপ প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অপমান এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করে উচ্চ আদালতে বৈধতা চেয়ে তিনি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি জন্য মামলা করেছন তিনি। স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গেলে তিনি জাতীয় পার্টির সময় জাতীয় পার্টি করতেন,বি.এন.পি সময় বি.এন.পি বর্তমান আওয়ামী লীগে সময় তিনি আওয়ামী লীগের কর্মী হয়ে গেছেন আসলে গাউছুর রহমান কোনোও দলীও পরিচয় নেই তিনি সুবিধাবাদী লোক। স্থানীয় এলাকার বিভিন্ন গণ্যমাণ্য ব্যক্তির দাবি করেন সরকার তার সকল সুযোগ-সুবিধা বাতিল সহ দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি প্রত্যাশা করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমাস মিয়া (যুদ্ধকালিন সেকশন কমান্ডার),আব্দুল হালিম দর্জি, শেখ আব্দুল গণি,জাহাঙ্গীর-বিন-সায়েম,আব্দুল আউয়াল,শেখ আব্দুল আলী জানান আমরা বাঙলি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে আহবানে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করি। তাকে আমাদের গাজীপুর জেলার,কাপাসিয়া এলাকায় কেনোও মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ অথবা আমাদের প্রতিবেশি রাস্ট্র ভারত কোনও প্রশিক্ষণ গ্রহন করেনি। আমরা এ ব্যাপারে উচ্চ আদালতের দৃস্টি আকর্ষন করছি এবং তার দৃস্টান্ত মুলক শাস্তি কামনা করছি। মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রদান করে মুক্তিযোদ্ধা কোটার সরকারী সুবিধা গ্রহন করা ভুয়া-মুক্তিযোদ্ধা গাউছুর রহমান মুক্তিযোদ্ধা সনদ ও মুক্তিযোদ্ধার তালিকা নাম বাতিলসহ দন্ডবিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারায় দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চান স্থানীয় এলাকার জনগণ ও মুক্তিযোদ্ধারা।