নকল সরবরাহের দায়ে অধ্যক্ষ আনোয়ার কবীরকে সুপারের দায়িত্ব থেকে বহিস্কার
ওসমান হারুনী,জামালপুর : জামালপুরের ইসলামপুর বেলগাছা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড বিএম কলেজ কেন্দ্রে এইচএসসি বিএম পরীক্ষা হলে নকল সরবরাহকারী হল সুপার ডেবরাইপ্যাচ টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ আনোয়ার কবীরকে পরীক্ষার হল সুপারের দায়িত্ব থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।
জানা যায়, ইসলামপুর বেলগাছা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড বিএম কলেজ কেন্দ্রের হলসুপার ডেবরাইপ্যাচ টেকিন্যাল এন্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ ও ইসলামপুর জে,জে,কে, এম গার্লস হাইস্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক আনোয়ার কবীর গত ১৯এপ্রিল এইচএসসি বিএম পরিক্ষা চলাকালে ৪৫টি নকলের ফটোকপি ৩টি কক্ষে সরবরাহ করে। এ খবর পেয়ে পরীক্ষা হলের দায়িত্বরত অফিসার এআরডিও মহসিন আলী সরবরাহকৃত ১৫টি নকলের কপি জব্দ করেন। পরে জব্দকৃত নকলের কপিগুলি কেন্দ্র সচিব মোস্তফা কামালের কাছে জমা দেয়া হয়। বিষয়টি পরীক্ষা হলে দায়িত্ব প্রাপ্ত আরও এক অফিসার হুমায়ূন কবীর, পরীক্ষা হলের ছাত্র ও ছাত্রীদের স্বাক্ষ্য গ্রহণের মাধ্যমে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। এ ঘটনা মূহুর্তের মধ্যে টক অফ দা টাউন এ পরিনত হয়, বিশেষ করে ইসলামপুরের সচেতন মহলে। বিষয়টি ইসলামপুরের সুযোগ্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুমুর রহমান তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে অবশেষে গত ২১এপ্রিল বিধি মোতাবেক অভিযুক্ত শিক্ষক আনোয়ার কবীরকে পরীক্ষা কেন্দ্রের হল সুপারের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। এছাড়াও বিধি মোতাবেক পরীক্ষা হলে দায়িত্ব পালনে ব্যার্থ হওয়ায় একই কেন্দ্রের সহ হল সুপার ফারাজী পাড়া টেকনিক্যাল এন্ড বি এম কলেজের প্রভাষক মাফুজুল হককেও অব্যাহতি দেয়া হয়।
অভিযুক্ত শিক্ষক আনোয়ার কবীর ইসলামপুর জে,জে,কে,এম গার্লস হাইস্কুল এন্ড কলেজে কর্মরত থাকার পরও ক্লাশ ফাঁকি দিয়ে অন্য জায়গায় শিক্ষকতাসহ বেলগাছা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড বিএম কলেজ এইচ এসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে ডেবরাইপ্যাচ টেকিন্যাল এন্ড বিএম কলেজের ছাত্র, ছাত্রীদের মাঝে কৌশলে নকল সরবরাহ করে। উল্লেখ্য যে, সুযোগ্য ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুমুর রহমান ও সহকারী কমিশনার ভূমি মুকতাদিরুল আহমেদ যখন ইসলামপুরে পরীক্ষা কেন্দ্রে নকল মুক্ত পরিবেশ ফিরিয়ে আনছেন ঠিক তখনই পরিক্ষা হলে দায়িত্বরত হল সুপার হয়ে নকল সরবরাহ করে শান্ত পরিবেশকে নষ্ট করেছে। আরো অভিযোগ রয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষক আনোয়ার কবীর একই সাথে ৩টি প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করে শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতারণা করে আসছেন। এছাড়াও শিক্ষক আনোয়ার কবীর ইসলামপুর জে,জে,কে,এম গার্লস হাইস্কুল এন্ড কলেজের একজন এমপিও ভুক্ত শিক্ষক হওয়া সত্ত্বেও অবৈধভাবে গড়ে উঠা ইসলামপুর মার্কাস মসজিদ সংলগ্ন ডিজিটাল স্কুল কলেজ এন্ড ক্যাডেট একাডেমি কোচিং সেন্টারে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত রয়েছেন। তাই সচেতন মহল অভিযুক্ত শিক্ষক আনোয়ার কবীরকে শুধু পরীক্ষা হলের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নয়; আইনানুযায়ী তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসকের নিকট দাবী জানিয়েছেন ।