“সেনাবাহিনী মোতায়েনে আস্থা ফিরে আসবে” ইসি

একাদশ জাতীয় সংসদ উপলক্ষে সারা দেশে সেনাবাহিনী মোতায়েনের মধ্য দিয়ে জনগণের আস্থা ফিরে আসবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। ফলে সহিংসতা পরিহার করে রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানান সিইসি।সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিদর্শন শেষে সিইসি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল থেকে দায়িত্ব পালনে নেমেছে সশস্ত্র বাহিনী। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী দেশের ৩৮৯ উপজেলায় এবং নৌবাহিনী ১৮ উপজেলায় দায়িত্ব পালন করবে। ২৪ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে কাজ করবে।নূরুল হুদা বলেন, ‘সেনাবাহিনী মোতায়েনের মাধ্যমে ভোটারদের মধ্যে ভোটের আস্থা ফিরে আসবে। এই উদ্দেশেই আমি সেনাবাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিলাম। আমি রাজনৈতিক দলগুলোকে আবারও অনুরোধ জানাবো— হাঙ্গামা, সহিংসতা, আন্তঃকোন্দল দূর করে শুধুমাত্র দলীয় প্রচারণার মাধ্যমে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে। মাঠে সেনাবাহিনী রয়েছে, তারা নিয়ম-শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে। আমি মনে করি, যে অল্প কিছু অরাজকতা ছিল, তা এখন দূর হবে। সেনাবাহিনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষার খাতিরে যেকোনও ধরনের ভূমিকা পালন করতে পারবে। এই বিষয়ে আইন আছে, সে অনুসারে তারা কাজ করবে।’একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণের পদ্ধতি জানতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান জানিয়ে তিনি সিইসি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিমতের পরিপ্রেক্ষিতে মাত্র ছয়টি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার হবে। আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত বিচার বিশ্লেষণপূর্বক পাইলট প্রকল্প হিসেবে মাত্র ছয়টি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করছি। যদিও ইভিএমের ব্যাপারে আমাদের কোনও সন্দেহ ছিল না। কিন্তু তাদের সন্দেহ থাকার কারণে আমরা খুব অল্পসংখ্যক ইভিএম ব্যবহার করছি। যারা সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন, তারা এখন এসে দেখুন, এর সম্পর্কে জানুন। আমি আশা করি, তাদের সন্দেহ ভেঙে যাবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *