প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন আজ
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন আজ। রবিবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার মধ্যে বৈধ প্রার্থীরা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে সশরীরে অথবা বার্তা বাহকের মাধ্যমে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন। এবার নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলই নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছে।আজকের মধ্যে যারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করবেন না তাদের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হবে। ইসি প্রার্থিতা প্রত্যাহার শেষে নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থীর সংখ্যা নির্ধারণ করবে। সেই অনুযায়ী আগামীকাল সোমবার প্রতীক বরাদ্দ নিয়েই নির্বাচনের মাঠে প্রচারে নামবেন প্রার্থীরা। দলীয় প্রার্থীরা দলীয় প্রতীকে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ইসির বরাদ্দ করা প্রতীকে নির্বাচন করবেন। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৩০ ডিসেম্বর। নির্বাচনের তফসিল ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, দল ও জোটগুলোকেও চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে পাঠাতে হবে। যার অনুলিপি দিতে হবে নির্বাচন কমিশনে।একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত মোট ৩৯টি রাজনৈতিক দলের সবাই নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছে। দলগুলোর দুই তৃতীয়াংশই এবার জোটগত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ড. কামালের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এবার লড়বে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে। এছাড়া ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থীরা নৌকা মার্কা নিয়ে নির্বাচনের মাঠে হাজির হবেন। নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়ে বিষয়টি ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে। গত ২৮ নভেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময়। গত ২ ডিসেম্বর রিটার্নিং অফিসাররা যাচাই-বাছাই শেষে বৈধ-অবৈধ প্রার্থীর তালিকা প্রকাশের পরদিন ৩ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচন কমিশন আপিল গ্রহণ শুরু করে। বুধবার আপিল গ্রহণের শেষ দিন ছিল। এ সময় ৩ হাজার ৬৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এগুলো যাচাইয়ের পরে ৭৮৬ জনের প্রার্থিতা বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। ফলে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় ২ হাজার ২৭৯ জনে। দেশের ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মনোনয়নপত্র জমা দেয়া দুই হাজার ৫৬৭ জন প্রার্থীর মধ্যে বাতিল হয় ৪০২ জন। স্বতন্ত্র হিসেবে দাখিল করা ৪৯৮ জনের মধ্যে ৩৮৪ জন বাতিল হওয়ার পর বৈধ স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে ১১৪ জন। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ২৬৪টি আসনে ২৮১ জন প্রার্থীর মধ্যে নৌকার বৈধ প্রার্থী ২৭৮ জন। এর মধ্যে বাতিল হন ৩ জন। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে সবচেয়ে বেশি বাতিল হয় বিএনপির। বিএপির ২৯৫টি আসনে ধানের শীষে ৬৯৬ জন প্রার্থীর মধ্যে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ৫৫৫ জন। এর মধ্যে বাতিল হয়েছিলেন ১৪১ জন। আর জাতীয় পার্টি ২১০ আসনে ২৩৩ জন প্রার্থীর মধ্যে লাঙ্গল প্রতীকে বৈধ প্রার্থী ১৯৫ জন। আর বাতিল হয়েছেন ৩৮ জন। তবে অধিকাংশ দলের প্রার্থীরা আপিল করার পর মনোনয়ন ফিরে পেয়েছেন। এর আগে ২০০৮ সালের নির্বাচনে বাছাইয়ে ২২ দশমিক ৬৪ শতাংশ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছিল। ওই নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ২ হাজার ৪৬০ জন। বাছাইয়ে ৫৫৭টি মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছিল।