যমুনার ভয়াবহ ভাঙন হুমকিতে ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়ক
এ কিউ রাসেল, গোপালপুর (টাঙ্গাইল) : যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করায় ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কের গোপালপুর-ভূঞাপুরের বিভিন্ন অংশে নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহের ভয়াবহ ভাঙনে দুই উপজেলার আবাদী জমি, বসতভিটা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে চরম হুমকির মধ্যে পড়েছে সড়কটি।
ভূঞাপুর উপজেলার কুঠিবয়ড়া বাজার অংশে সড়কটি যমুনা নদী হতে মাত্র ২০মিটার দুরে অবস্থান করছে। অতিদ্রæত ভাঙন রোধ করতে না পারলে সড়কটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। ফলে জেলার অভ্যন্তরীন যোগাযোগসহ বন্ধ হয়ে যাবে তারাকান্দি সার কারখানার সাথে দেশের অন্যান্য জেলার যোগাযোগ।
সরেজমিনে জানা যায়, যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করায় ভূঞাপুর উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের রাজাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। প্রতিষ্ঠানটি পার্শ্ববর্তী অর্জুনা ইউনিয়নের শফি ফকিরের বাড়ীতে আপাতত শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। নতুন করে এ ভাঙনের ফলে গাবসারা ইউনিয়নের ডিগ্রীর চর, রাজাপুর, ফলদাপাড়া, খন্দকারপাড়া, ভূইয়াপাড়া, চন্দনী, অর্জুনা ইউনিয়নের কুঠিবয়ড়া, তারাই, জগৎপুরা ও ফলদা ইউনিয়নের গারাবাড়ী গ্রামের শত শত একর আবাদী জমি ও তিনশতাধিক বসতভিটা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। উপজেলার পুরো চর এলাকায় বিশেষ ভাবে ক্ষতি হয়েছে আমন বীজ তলার। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের কৃষকেরা। অস্বাভাবিক ভাঙনের ফলে চরম হুমকির মধ্যে পড়েছে সড়কটি।
এদিকে সম্প্রতি ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী এইচ এম ফখরুল ইসলাম, ময়মনসিংহ সার্কেলের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এ.কে.এম শফিকুল হক, ভূঞাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হালিম এডভোকেট, পানি উন্নয়ন বোর্ডের টাঙ্গাইলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহফুজুর রহমান, উপ-নির্বাহী প্রকৌশলী মো. গোলাম সারওয়ার। উপজেলা চেয়ারম্যান ও এলাকাবাসী এলাকার ভাঙন রোধে সংশিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের কাছে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান।
এ ব্যাপারে প্রধান প্রকৌশলী এইচ এম ফখরুল ইসলাম বলেন, ভাঙনের খবর পাওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই আমরা এলাকা পরিদর্শন করেছি, তাৎক্ষনিক ভাবে ভাঙন রোধ কল্পে অনুন্নত জরুরী খাতের আওতায় বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থার জন্য অচিরেই কার্যক্রম শুরু হবে।