নিখোঁজের আড়াই মাসেও খোঁজ মেলেনি শেরপুরের কলেজছাত্র মোস্তাকের
হারুনুর রশিদ, শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুরে নিখোঁজ হওয়ার দীর্ঘ আড়াই মাসেও খোঁজ মেলেনি কলেজছাত্র মোস্তাক হোসেনের (১৭)। এ নিয়ে তার পরিবারের লোকজন হতাশায় ভেঙে পড়েছেন। মোস্তাক সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের হারুয়াকান্দা গ্রামের মুকুল হোসেনের ছেলে এবং শেরপুর সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।জানা যায়, গত ১০ জুলাই মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে মোস্তাক হোসেন বাড়ির পাশের দোকান থেকে চানাচুর কেনার কথা বলে বের হয়। এরপর রাতে মোস্তাক বাড়ি ফিরে না এলে তার আত্মীয়-স্বজনের বাসায় খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ১২ জুলাই সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী দায়ের করেন তার বাবা। মোস্তাকের মুখমন্ডল লম্বাটে, গায়ের রং কালো, উচ্চতা-৫ ফুট ৫ ইঞ্চি, বয়স-১৭ বছর। তার পরনে ছিল সাদা রঙের স্যান্ডো গেঞ্জি ও চেক লুঙি। এদিকে সাধারণ ডায়েরী ও বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধানের পরও সন্তানকে ফিরে না পেয়ে শেরপুর শহরের বাইরে জামালপুর অঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় নিখোঁজ মোস্তাকের ছবিসহ পোস্টার ছেপে সন্ধান প্রার্থনা করেন হতভাগ্য পিতা। তার বাড়ির ঠিকানায় কিংবা মোবাইল নম্বরে (০১৯২৭-৪২৮৯৭৫) যোগাযোগ করার জন্যও অনুরোধ করা হয় সন্ধানদাতাদের। এরপরও থেমে থাকেননি তিনি ও তার পরিবারের লোকজন। থানা-পুলিশ থেকে শুরু করে পুলিশ সুপারের কার্যালয়েও প্রতিনিয়ত ঘুরাফেরা করছেন নিখোঁজ সন্তানের খোঁজ পেতে। কিন্তু দীর্ঘ আড়াই মাসেও তার সন্ধান না মেলায় মা উম্মে কুলসুমসহ ২ বোন ও ১ ছোটভাই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। ওই অবস্থায় ১৬ সেপ্টেম্বর রবিবার বিকেলে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে গিয়ে পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীমের দ্বারস্থ হলে তিনি বিষয়টি আরও যতœ সহকারে দেখার জন্য ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নওয়াজেশ আলীকে নির্দেশ দেন। এ ব্যাপারে ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নওয়াজেশ আলী জানান, পরিবারের সাথে অভিমান করে কলেজছাত্র মোস্তাক নিখোঁজ হয়ে থাকতে পারে। তবে মোস্তাকের বাবার অভিযোগ, স্থানীয় প্রতিবেশিদের সাথে তার পরিবারের চলে আসা দীর্ঘদিনের বিরোধ ও মোকদ্দমা সংক্রান্ত বিরোধের শিকার হয়ে থাকতে পারে মোস্তাক।