কুষ্টিয়ায় জ্বীন তাড়ানোর নামে ভন্ডপীরের পিটুনীতে জীবন গেলো গৃহবধুর
আকরাম হোসেন সুজন,কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ায় জ্বীন তাড়ানোর নামে ভন্ডপীরের পিটুনীতে এক গৃহবধূর করুন মৃত্যু হয়েছে। ওই গৃহবধূর নাম জুলেখা খাতুন(২৫)। সে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার আল্লার দর্গার গোহাট এলাকার মিজান আলীর স্ত্রী।এ ঘটনার পর ওই ভন্ডপীরের বিচারের দাবিতে ফুসে উঠেছে এলাকাবাসী। অপরদিকে ঘটনা ধামাচাপা দিতে এলাকার এক প্রভাবশালী মহলকে হাত করে তরিঘরিতে ওই গৃহবধূর লাশ দাফন সম্পন্ন হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, মিজানের স্ত্রী জুলেখা খাতুৃনকে ডাক্তার দেখাতে ভেড়ামারা নিয়ে এলে তার উপর জ্বীন ভর করেছে বলে জানান কিছু দালাল। পরে ওই দালালরা জ্বীন তাড়ানোর কথা বলে কৌশলে ভেড়ামারা স্বরুপের ঘোপ এলাকার ডাক্তার আব্দুল খালেকের ছেলে ভন্ডপীর বুলবুলের কাছে নিয়ে আসে। সেখানে নিয়ে আসার পর রোগীকে ঝাড়– পেটা, লাঠি দিয়ে পেটানো সহ শুরু হয় ভন্ডপীরের বিভিন্ন কেড়ামতি। এতে গুরুতর আহত হয়ে জুলেখা জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তবুও ভন্ডপীরের পিটুনি থামেনা। এরই এক পর্যায়ে জুলেখা নিথর হয়ে পড়লে অবস্থা বেগতিক দেখে তাকে দ্রুত ডাক্তরের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয় ওই ভন্ডপীর।পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে স্থানীয় এক ডাক্তরের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে জুলেখার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান। এ ঘটনার পর পুলিশী ঝামেলা এড়াতে এলাকার একটি মহলকে হাত করে ভন্ডপীরের দালারদের মাধ্যমে লাশ দ্রুত দৌলতপুর নিয়ে যাওয়া হয় এবং তরিঘরি করে লাশের দাফন সম্পন্ন করা হয়।এ মৃত্যুকে ঘিরে ক্ষোপে ফুসে উঠেছে ভন্ডপীরের এলাকা ও মৃত্যু গৃহবধূর এলাকার মানুষ। তারা মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করে ভন্ডপীরের বিচারের দাবি জানিয়েছেন।