সান্তাহারে পারিবারিক কলহের জের ধরে এক ব্যক্তি কে পিটিয়ে হত্যা অভিযোগ!
আদমদীঘি প্রতিনিধি: রবিবার রাতে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের রেলওয়ে লোকো কলোনীতে গোলাম রব্বানী সুজন (৪০) নামের এক ব্যক্তি কে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘ দিনের পারিবারিক কলহ জমি বিক্রির টাকা হাতিয়ে নিতে এই হত্যা কান্ড ঘটেছে বলে নিহতের বাবা ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে। ঘটনার পর থেকে নিহতের তালাকপ্রাপ্ত সাবেক স্ত্রী কীর্তিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য উম্মে হাবিবা, স্ত্রীর বড় বোন এবং ছোট ভাই নাসিম পলাতক রয়েছে। আদমদীঘি থানা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের মেয়ে, সাবেক স্ত্রীর বড় বোন এবং স্ত্রীর বড় বোনের মেয়েকে আটক করেছে। জানা গেছে, নওগাঁ সদর উপজেলার সালোবাজ পাহাড়পুর গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে গোলাম রব্বানী সুজনের সাথে তার স্ত্রী নওগাঁ সদর উপজেলার কীর্তিপুর ইউনিয়নের দুই নম্বর সংরক্ষিত আসনের সদস্য উম্মে হাবিবা’র জমি-জমা সহ পারিবারকি একাধিক কারনে দ্বন্দ্ব চলে আসছে দীর্ঘ দিন থেকে। এর মধ্যে গত ১৩ দিন পুর্বে স্ত্রী উম্মে হাবিবা তার স্বামী গোলাম রব্বানী সুজন কে তালাক দেয়। এর কিছু দিন পুর্বে ওই দম্পতির একমাত্র মেয়ে সুজাতার সাথে স্বামীর ছাড়াছাড়ি হয়। নিহতের মেয়ে সুজাতা জানায়, বাবা ২/৩ দিন পুর্বে সান্তাহার আসে। রাতে ফোনে আমাকে জানান, একটা কাজে রাতেই ঢাকায় যাবেন। কিন্তু সকালে খবর পাই যে, আমার মামা নাসিম উদ্দিনের সান্তাহার শহরের লোকো পশ্চিম কলোনীর বাড়ির বাহিরে আমার বাবার লাশ পাওয়া গেছে। পুলিশ সোমবার দুপুরে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া মর্গে পাঠিয়েছে। এ ব্যাপারে আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্য আবু সায়িদ মোঃ ওয়াহেদুজ্জামান জামান বলেন, এখনো উল্লেখযোগ্য তথ্য মেলেনি। তবে এটি হত্যার ঘটনা। নিহতের জমি বিক্রির মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য তালাকপ্রাপ্ত সাবেক স্ত্রী এবং স্ত্রীর নিকটজনরা এর সাথে জড়িত। এ রিপের্টি পাঠানো সময় পর্যন্ত আদমদীঘি থানায় মামলা হয়নি। তবে মামলার প্রস্তুতি চলছিল।