চাহিদা মেটাতে পারছে না সৌর বিদ্যুৎ সান্তাহারে সাইলোতে বহুতল খাদ্য গুদামে ২৫ হাজার মেট্টিক টনের স্থলে সাড়ে ৫ হাজারেই স্থানাভাব,
আদমদীঘি প্রতিনিধি: বগুড়ার সান্তাহারে নির্মান করা সাইলোতে বহুতল খাদ্য গুদামের ধারণ ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন ও বির্তক দেখা দিয়েছে। উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে এটির ধারণ ক্ষমতা ২৫ হাজার মেট্টিক টন বলে জানানো হলেও তাঁর নিকট প্রকৃত সত্য আড়াল করা হয়েছে বলে অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে। মাত্র সাড়ে ৫ হাজার মেট্টিক চাল নেয়ার পর আর কোন জায়গা খুঁজে পাচ্ছে না এখানকার কর্মকর্তাগণ। ফলে বগুড়া ও নওগাঁর জেলা খাদ্য কর্মকর্তার দেওয়া চাহিদা মোতাবেক চাল গ্রহন করতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এই ভবনের ছাদে স্থাপিত সৌর বিদ্যুৎ প্ল্যাান্ট থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ব্যবহার করার পর অতিরিক্ত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে দেওয়ার ঘোষনাও মোখরোচক হিসাবে দেখা দিয়েছে। জানা গেছে, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (জাইকা)’র আর্থিক সহায়তায় প্রায় ৩ শত কোটি টাকা ব্যয়ে বগুড়ার সান্তাহার খাদ্য শস্য সাইলো চত্বরে এশিয়ার প্রথম এই নতুন প্রতিষ্ঠান নির্মান করা হয়েছে। নির্মান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জাপানের মেসার্স শিমুজি কর্পোরেশন। প্রকল্প গ্রহন ও নির্মান কাজের শুরু থেকে এমন কি উদ্বোধনের সময়ও বলা হয়েছে যে, শিতাতপ নিয়ন্ত্রীত এই গুদামে মজুদ ধারণ ক্ষমতা ২৫ হাজার মেট্টিক টন এবং এখানে রাখা চালের গুনগত মান একই রকম থাকবে বছরের পর বছর, ছুঁতে পারবে না কোন পোকা-মাকড়। ২০১৭ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দিয়ে এটি উদ্বোধন করানো হয়। উদ্বোধনের প্রায় দেড় বছরের মাথায় পুরোপুরি চাল মজুদ কার্যক্রম শুরু হয়েছে চলতি ইরি-বোরো চাল সংগ্রহ মৌসুমে। কার্যক্রম শুরুর পর দেখা দিয়েছে স্থানাভাব এবং বিদ্যুৎ ঘাটতির ঘটনা। এ বিষয়ে সান্তাহার খাদ্য শস্য সাইলোতে যোগাযোগ করা হলে নাম-পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক নিম্ম পদের এক কর্মকর্তা স্থানাভাবে চাল গ্রহনে অপারগতা প্রকাশ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, দ্বি-তল ভবনে রয়েছে ১৬ কক্ষ। এর মধ্যে ১৫ কক্ষে চাল রাখা হয়েছে। অপরটিতে রাখা হয়েছে চালের বস্তা সাজানো প্যালেট। ১৫ কক্ষে ৩ স্তর প্যালেট খামাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। এর বেশী দিতে গেলেই খামাল ভেঙ্গে পড়ে যাবার উপক্রম হচ্ছে। তিনি আরোও বলেন, জাপানীরা ৬ স্তর প্যালেট খামাল দিতে বলে গেছেন। কিন্তু আমরা তা পারছি না। তবে ৬ স্তর খামাল দেওয়া সম্ভব হলেও ধারণ ক্ষমতা ১২ হাজার মেট্টিক টনের বেশী হবার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। সৌর বিদ্যুৎ বিষয়ে সান্তাহার বিদ্যুৎ বিতরণ ও বিক্রয় বিভাগের আবাসিক ও নির্বাহী প্রকোশলী জিল্লুর রহমান জানান, সান্তাহার সাইলো বহুতল খাদ্য গুদামের ছাদে স্থাপিত সৌর বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ গত প্রায় এক বছর ধরে জাতীয় গ্রিডে দেওয়া হত; তাদের চাল সংরক্ষন কার্যক্রম না থাকার কারনে। কিন্তু তাদের কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হওয়ায় চাহিদার তুলনায় উৎপাদন ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ফলে জাতীয় গ্রিডে কোন বিদ্যুৎ বিদ্যুৎ দিতে পারছে না। বরং পিডিবি থেকে নিচ্ছে।