খানসামা উপজেলায় আরসিসি ঢালাইয়ের রাস্তা উদ্বোধনের আগেই ভেঙে গেছে
মো: আফজাল হোসেন ফুলবাড়ী দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার পাকেরহাটে আরসিসি ঢালাইয়ের একটি নবনির্মিত রাস্তা উদ্বোধন হওয়ার আগে ভেঙে গেছে। বেকায়দায় পড়েছে ক্রেতা-বিক্রেতা, এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা। ২০১৬ সালের ১৩ ডিসেম্বর এ রাস্তাসহ পাকেরহাট গ্রোথ সেন্টার নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হয়। রাস্তায় ১০ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য ও ৮ ইঞ্চি প্রস্থে ৩ সূতের রড দিয়ে নেট তৈরি করে এবং ৬ ইঞ্চি ঘনত্ব দিয়ে নির্মাণ কাজ শেষ হয় গত প্রায় ৩/৪ মাস আগে। উপজেলার জনবহুল পাকেরহাটের ধানহাটি থেকে ছাগল হাটি যাওয়ার রাস্তাটি অত্যন্ত ব্যস্ততম হওয়ায় গুরুত্বসহকারে আরসিসি ঢালাই করে নির্মাণের কাজ দেয়া হয় ঠিকাদারকে। কিন্তু রাস্তারটির পূর্ব দিকের অংশে মোয়াজ্জেম সরকারের গুদামের কাছে একটি স্লাপ নির্মাণের মাত্র ৩/৪ মাসের মধ্যেই উদ্বোধন না হতেই ভেঙে পড়েছে। ফলে, হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতা, ওই রাস্তায় চলাচলকারী এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা ভীষণ বেকায়দায় পড়েছেন। অজান্তে রাস্তা দিয়ে চলতে গিয়ে অনেক সাইকেল চালক হোঁচট খেয়ে পড়ে গেছে বলেও জানা গেছে। তবে কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনা এড়াতে সোমবার রাস্তার পশ্চিম পাশে বাঁশের খুঁটি গেড়ে, ভাঙার স্থানে রডে এবং রাস্তার পূর্ব দিকে দুপাশে খুঁটি দিয়ে লাল কাপড় বেঁধে দিয়েছে। আঙ্গারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা আহমেদ শাহ জানান, বিষয়টি আমি দেখেছি এবং ইঞ্জিনিয়ারকে জানাইছি তিনি দেখে গেছেন। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড ইউপি সদস্য শাহজাহান পাটোয়ারী জানান, এটা তো ৩/৪ মাস আগেই হলো। ভেঙে যাওয়া বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানাইছি। তারা দ্রুত মেরামতের কথা জানিয়েছিল। রাস্তা সংলগ্ন হোটেল ব্যবসায়ী যৌবন কুমার মহন্ত জানায়, রাস্তাটি যখন নির্মাণ হয় তখন তাদেরেকে বলেছিলাম, এখানে ভালো করে নিচ থেকে ঢালাই দিলে ভালো হবে। তারা আমার কথা শুনে নাই। নির্মাণ কাজের ঠিকাদারী ক্রেতা সিকান্দার আলী কাবুল ফেসবুক মন্তব্যে জানান, এই রাস্তার উপর দিয়ে দশ চাকার ট্রাক ভর্তি ধান রাইস মিলে আনা নেওয়ার কারণে ঐ জায়গাটি ভেঙে যায়। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী সুবীর কুমার সরকার মুঠোফোনে জানান, ওটা ট্রাকের কারণে হবে কেন শুধু, ওখানে একটা পাইপ গেছে ভিতর দিয়া। হয়তো কোন জায়গা জ্যাম হইছে ওদের। পানি যায়া লিগ হইতে পারে। সেই লিগ হইয়া ভিতর থেকে আস্তে আস্তে মাটি ঝরতেছে তিন ফিট ভিতর থেকে। তারপর ট্রাকও গেছে।
রাস্তা সংলগ্ন মিল মালিক মোয়াজ্জেম হোসেন সরকার মুঠোফোনে বলেন, ওখানে একটা কার্লভাটের রিং দেওয়া আছে। উপর দিয়ে পানি যাওয়ার কোন প্রশ্নই ওঠে না।