খালেদার জামিনে সাজা, বয়স ও অসুস্থতা বিবেচ্য নয়: দুদকের আইনজীবী


জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানিতে বিরতি চলছে। মঙ্গলবার (৮ মে) সকাল ৯টা ৩৪ মিনিটে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়।শুনানিতে প্রথমেই বক্তব্য শুরু করেন দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। জামিনের বিরোধিতা করে তিনি বলেন, হাইকোর্ট কম সাজার বিষয়টি উল্লেখ্য করে জামিন দিয়েছেন, কিন্তু দণ্ড দেয়ার পর জামিনের জন্য কম সাজার বিষয়টি বিবেচনায় আসবে না। তিনি মাত্র ৩ মাস হলো বন্দি রয়েছে। বন্দির সময়টা যদি দুই বা আড়াই বছর হয় তবে জামিনের বিষয়টি বিবেচনায় থাকতে পারে।’বয়স ও অসুস্থতা নিয়ে খুরশিদ আলম বলেন, ‘সাজাপ্রাপ্ত হলে জামিনের জন্য বয়সটা বিবেচনায় আসবে না। আর অসুস্থতার বিষয়টি জেলকোট অনুযায়ী কারা কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’খালেদা জিয়ার সাজা বাড়াতে তিনি বলেন, ‘মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া। কিন্তু একই মামলায় তাঁকে কম সাজা আর বাকীদের বেশি সাজার বৈষম্য করা হয়েছে। হয় সবাইকে ৫ বছর অথবা সবাইকে ১০ বছর সাজা দেয়া উচিত।’এর আগে গত ১৯ মার্চ হাইকোর্টের দেখা খালেদা জিয়ার জামিন ৮ মে পর্যন্ত স্থগিত করে মামলাটি শুনানির জন্য আজকের দিন (৮ মে) দিন ধার্য করেছিলেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ। গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পুরান ঢাকার বকশিবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামানের আদালত খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। রায়ে তারেক রহমানসহ বাকিদের ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেদিন থেকেই খালেদা জিয়া নাজিম উদ্দিন রোডের পুরানো কেন্দ্রীয় কারাগারে একমাত্র বন্দি আছেন।এই মামলায় খালেদা জিয়া হাইকোর্টে আপিল করলে গত ১২ মার্চ হাইকোর্ট চার মাসের অন্তবর্তীকালীন জামিন পান। পরদিন ১৩ মার্চ জামিন স্থগিত চেয়ে চেম্বার বিচারপতি আদালতে আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক। ওইদিন চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর জামিন আদেশ স্থগিত না করে আবেদন দুটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।পরদিন ১৪ মার্চ হাইকোর্টের দেয়া চার মাসের জামিন আদেশ ১৮ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। ওই সময়ের মধ্যে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত আপিলের আবেদন (লিভ টু আপিল) করার নির্দেশ দেয়া হয়। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, লিভ টু আপিল দায়ের করে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ।পরে ১৯ মার্চ আপিল বিভাগ দুটি আপিলই শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। আপিল নিষ্পত্তি হওয়া পর্যন্ত জামিনও স্থগিত করেন সর্বোচ্চ আদালত। একইসঙ্গে দুই সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদককে সারসংক্ষেপ জমা দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আজকের (৮ মে) দিন ধার্য করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *