নির্বাচনকালীন সময়ে সেনাবাহিনী মোতায়েনের কোনও ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নেই: “ওবায়দুল কাদের”


নির্বাচনকালীন সময়ে সেনাবাহিনী মোতায়েনের কোনও ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে সংবিধানে সব কিছু বলা আছে। কেউ চাইলেও সংবিধানের বাইরে যেতে পারবে না। নির্বাচনকালীন সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বাচন কমিশনের অধিনে কাজ করবে। কিন্তু সেনাবাহিনী থাকবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধিনে। তাই চাইলেই সেনাবাহিনীকে নির্বাচনকালীন সময়ে মোতায়েন করতে পারবে না কমিশন।’রবিবার (৮ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপ-কমিটির বৈঠক শেষে সিইসির বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এসব কথা বলেন।এর আগে রবিবার (৮ এপ্রিল) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়নে ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ আয়োজিত ‘বাংলাদেশে প্রবাসী ভোটাধিকার প্রবর্তন: সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জাবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা বলেন, ‘বিগত নির্বাচনগুলোতে সেনা মোতায়ন হয়েছে। তাই যদি প্রয়োজন হয় আগামী জাতীয় নির্বাচনেও সেনা মোতায়ন হতে পারে।’সিইসির ওই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কাদের বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সময়ে সেনাবাহিনী শুধু স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে। ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেয়া হবে কিনা সে বিষয়ে পরিস্থিতি বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আর ইসির হাতে তো সেনা মোতায়েনের কোনও ক্ষমতা নেই। ইসি শুধু সরকারকে এ ব্যাপারে অনুরোধ করতে পারবে। সরকার পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রয়োজন মনে করলে সেনাবাহিনী মোতায়েন করবে।’ দ্রুত সময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বসবে বলে জানিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘সারা বিশ্বে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে থাকেন। তাহলে আমাদের প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা কেন পারবেন না? এ বিষয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বসবো।’বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি নেতারা বেগম জিয়াকে নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম বক্তব্য দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করছেন। তাঁকে জোর করে হাসপাতালে নেওয়ার প্রশ্নই আসে না। তিনি হাসপাতালে যাওয়াতে অবশ্য একদিক থেকে সুবিধা হয়েছে। জাতি দেখেছে তিনি কতোটুকু অসুস্থ। আমার তো মনে হয় তিনি জেলে যাওয়ার আগে যতোটুকু সুস্থ ছিলেন, জেলে যাওয়ার পর আরও বেশি হাস্যজ্জ্বল ও সুস্থ বোধ করছেন। তিনি সুস্থ থাকুক তা আমরাও চাই। আর জেল কোড অনুযায়ী তিনি তো সব সুযোগ-সুবিধাই পাচ্ছেন।’ এর আগে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক উপ-কমিটির দায়িত্ব তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মাঝে মাঝে এমন কিছু ইস্যু আমাদের সমানে চলে আসে, যেখানে দলীয় অবস্থান পরিষ্কার করা প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে। উপ-কমিটির দায়িত্ব থাকবে এসব ইস্যুতে পার্টির বক্তব্য তুলে ধরা।’এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে.কর্নেল (অব.) ফারুক খান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, উপ-কমিটির সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিট, প্রলয় সমদ্দার, কান্তি দাস প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *