সুন্দরগঞ্জে ভরা তিস্তা এখন মরায় পরিণত


সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ভরা তিস্তা নদী মরা খালে পরিণত হয়েছে। এক সময়ের খর¯্রােতা তিস্তা নদী নাব্যতা হারিয়ে ক্রমান্বয়ে পানি শূণ্য হয়ে পড়ায় পায়ে হেটে মানুষ এ পাড় থেকে ওপাড়ে পারাপার হচ্ছেন। এতে তিস্তা নদীতে অবলম্বন করে যে সকল পরিবার, মাঝি-মাল্লা, জেলে, চাষী জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল তারা এখন কর্মহীন হয়ে দুর্বিসহ জীবন যাপন করছেন। অনেকেই জীবন-জীবিকা নির্বাহের তাগিদে বাদ-দাদার আদি পেশা ছেড়ে দিয়ে ক্ষেত খামারে কাজ করা ছাড়াও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় রিক্সা ভ্যান চালানোসহ বিভিন্ন রকমের শ্রম বিক্রি করেছন। এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এ এলাকা মরু অঞ্চলে পরিণত হবে বলে পানি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। এছাড়া তিস্তা পাড়ে কৃষক পরিবার গুলো নদী থেকে সেচ যন্ত্র ব্যবহার করে পানি উত্তোলণ করতে না পারায় কৃষি কাজ দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে এবং কৃষি জমিতে বিকল্প পদ্ধতিতে সেচ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে গিয়ে তারা কৃষি খাতে লোকসানের মুখ দেখছেন। এ নিয়ে জেলে ফুল বাবু জানান, তিস্তা নদীতে পানি না থাকায় হামার বড় কষ্ট, মাছ-টাছ আর ধরতে না পারায় পরিবার পরিজন নিয়ে অতিকষ্টে জীবন পার করছি। তিস্তা পাড়ের রুহুল আমিন জানান, আশির দশকের দিকে তিস্তা নদী দিয়ে কাউনিয়া, হারাগাছ, কামারজানি, সুন্দরগঞ্জ, চিলমারী, জামালপুর, ইসলামপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নৌ-যোগে ব্যবসা-বাণিজ্য জম-জমাট ভাবে চলত। কিন্তু তিস্তার নাব্যতা হেরে যাওয়া এবং পানির ন্যায্য হিস্যা না পাওয়ায় কয়েক হাজার নৌ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। এদিকে নদী বাঁচাও-দেশ বাঁচাও আন্দোলনের সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আহবায়ক ছাদেদুল ইসলাম দুলাল জানান, পরিবেশ, জীবও বৈচিত্র্য রক্ষা করাসহ তিস্তা নদীতে পানির ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত করণ ও ভারতের গজল ডোবা থেকে প্রস্তাবিত হরিপুর তিস্তা সেতু পর্যন্ত ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে জলাধার তৈরি হলে তিস্তা নদী তার পূর্বের জীবন ফিরে পাবে এবং এ অঞ্চলের মানুষ এর সুফল ভোগ করতে পারবে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *