লামায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিপুল অস্ত্রসহ আটক ৪
মোহাম্মদ মোরশেদ আলম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি: বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের দূর্গম রোয়াজা পাড়া এলাকা হতে র্যাব-৭ এর সাড়াশি অভিযানে ২৫টি দেশীয় তৈরি বন্দুকসহ ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল হতে গভীর রাত পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৭) আটককৃতরা হল, চাইনুং মারমা (৩৬) পিতা- মংচিহ্লা মার্মা, তুইসা মং (৩৬), পিতা- উছা মার্মা, মিফং মার্মা (৪১) পিতা- মৃত চিংফুয়াং মার্মা ও এক্য মার্মা (৪০) পিতা- ছাহ্লাচিং মার্মা, গ্রাম- ত্রিশডেবা বড় মার্মা পাড়া, ফাঁসিয়াখালী, লামা, বান্দরবান। র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মিমতানুর রহমান (পিপিএম) সাংবাদিকদের এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, দীর্ঘদিন যাবত পাহাড়ের দূর্গম এলাকায় পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা খুন, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, মাদক চোরাচালান, মানুষ অপহরণ ও মানুষ আটক করে মুক্তিপণ আদায়সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম পাহাড়ী এলাকায় ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে। দীর্ঘদিনের নিবিড় পর্যবেক্ষন ও গোয়েন্দা তৎপরতার এক পর্যায়ে র্যাব-৭ জানতে পারে যে, বান্দরবান জেলার লামা থানাধীন ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের বনপুর রাজাপাড়াস্থ দূর্গম পাহাড়ী এলাকায় কতিপয় সংঘবদ্ধ পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ পরিচালনার উদ্দেশে বিপুল পরিমান অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আলীকদম জোন ও র্যাব-৭, চট্টগ্রাম ওই এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এসময় ২৫টি অস্ত্র (১৪টি এসবিবিএল এবং ১১ টি ওয়ান শুটার গান) ও ২ হাজার ৩৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদার বলেন, গয়ালমারা, ত্রিশডেবা ও রোয়াজা পাড়া এলাকাসমূহ সন্ত্রাসীদের অভয়রাণ্যে পরিণত হয়েছে। সেখানে নিয়মিত চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কার্যক্রম চলে। প্রায়সময় অভিযান চালালেও গভীর পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় সন্ত্রাসীরা খবর পেয়ে আগ থেকে সরে যায়।
সেখানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ক্যাম্প স্থাপনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।