নির্বাচনের আগে বিএনপি দেশে সন্ত্রাসী মহড়া দিচ্ছে — “স্বাস্থ্যমন্ত্রী”
পুলিশের রাইফেল ভেঙে প্রিজন ভ্যান থেকে নেতাকর্মী ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় বিএনপির সমালোচনা করে ১৪ দলের মুখপাত্র আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপি দেশে সন্ত্রাসী মহড়া দিচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির সাথে সাধারণ জনগণ নেই। তাই তারা সন্ত্রাসী মহড়া দিচ্ছে নির্বাচনের আগে। তারা নির্বাচনকে ভুণ্ডুল করতে চায়। সেজন্যই অসাংবিধানিক কথাবার্তা বলছে। এদেশে আর কোনও অসাংবিধানিক কথা মানা হবে না। সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’সোমবার (৫ জানুয়ারি) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে ১৪ দলের এক সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।১৪ দলের এই মুখপাত্র বলেন, ‘খালেদা জিয়া বলেছেন তার সাথে নাকি প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সেনাবাহিনী আছে। তার সাথে যদি সবাই থাকে তাহলে নির্বাচনে যেতে সমস্যা কোথায়? তিনি এসব কথা বলে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে উস্কে দিতে চাচ্ছেন।’
খালেদা জিয়ার বক্তব্যের সমালোচনা করে নাসিম আরও বলেন, ‘তাঁকে (খালেদা জিয়া) মনে রাখতে হবে- প্রশাসন কিংবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কারো ব্যক্তিগত লোক নয়। যে সরকার ক্ষমতায় থাকবে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেই সরকারের অধিনেই কাজ করবে। এটাই তাদের কাজ।’দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার রায় নিয়ে নাসিম বলেন, ‘রায় নিয়ে কিছু বলতে চাই না। কারণ আদালত রায় দেবে। আদালতের রায়ের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা আছে। রায় নিয়ে যদি বিএনপি কোনও ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায় তাহলে ১৪ দল সজাগ আছে, থাকবে। আমরা শুধু ৮ তারিখেই নয় আগামী নির্বাচনের আগ পর্যন্ত মাঠে থাকবো।’হাইকোর্টের সামনে পুলিশের ওপর বিএনপির কর্মীদের হামলা চালানো বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এটা কি কোনও রাজনৈতিক দলের কাজ? এরা তো ডাকাতের দল, সন্ত্রাসী দল। তা না হলে পুলিশের ওপর এভাবে কেউ হামলা চালাতে পারে না। পুলিশ ওই দিন অনেক ধর্য্যের পরিচয় দিয়েছে।’এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, কমিউনিস্ট কেন্দ্রর যুগ্ম আহবায়ক ড. ওয়াজেদ ইসলাম খান, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি মজিবুল বাশার মাইজভান্ডারী, জেপির মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম ও আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ।