নাগরপুরে ইউএনও’র মোবাইল ব্যাবহার করে চাঁদা দাবি : থানায় জিডি
নাগরপুর(টাঙ্গাইল) : টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) এর মোবাইল নম্বর (০১৭১৮ ৪৫৯১৪৯)ও তার পদবী ব্যবহার করে অভিনব কায়দায় ৪জন ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে চাঁদা দাবি করার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ১৫মিনিট থেকে ৬টা ৫৪মিনিটে এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ইউএনও আলমগীর হুছাইন সহ প্রশাসনে চরম উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে ইউএনও আলমগীর হুছাইন নাগরপুর থানায় সাধারন ডাইরি করেছেন।(জিডি নং ৫২২ তাং ১৮/০৪/১৫)। ইউএনও’র কার্যালয় ও সাধারন ডাইরি সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধায় কে বা কারা ইউএনও আলমগীর হুছাইনের মোবাইল(নং ০১৭১৮ ৪৫৯১৪৯) ব্যবহার করে উপজেলার ধুবড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান শাকিল, মামুদনগর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ কামাল হোসেন, ভাদ্রা ইউপি চেয়ারম্যান শওকত আলী ও সলিমাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম মন্টুকে ফোন করে। ফোনে মাদকের কথা বলে বিভিন্ন অংকের চাঁদা দাবী করেন। ধুবড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান খান শাকিল বলেন, সন্ধা ৬.৪৮মিনিটে ইউএনও স্যারের নম্বর ব্যবহার করে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি দশ হাজার টাকা তার কাছে দাবী করে। মোবাইলে ইউএনও’র কন্ঠ অপরিচিত মনে হলে তার সন্দেহ হয়। পরে চেয়ারম্যান শাকিল ইউএনওকে ফোনে বিষয়টি জানান। এ সময় তিনি (ইউএনও) কোন চেয়ারম্যানকে ফোন করেনি বলে জানান এবং চেয়ারম্যানদের কাউকে টাকা না দিতে সতর্ক করেন। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলমগীর হুছাইন জানান, আমার নম্বর ব্যবহার করে ওই ৪জন চেয়ারম্যানের কাছে বিভিন্ন অংকের চাঁদা দাবী করে। বর্নিত নম্বর ও সময়ে আমি কোন ফোন করি নাই। এ বিষয়ে গ্রামীন ফোনের কাষ্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করলে তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখবে বলে ইউএনও কে আস্বস্ত করেন। এ ঘটনায় গোটা উপজেলায় চাঞ্চল্য সৃষ্টির পাশাপাশি চরম আতংক দেখা দিয়েছে।