ভুয়া সনদে চাকুরীর অভিযোগ : আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ ভূমি কর্মচারী কানিছ ফাতেমা


স্টাফ রিপোর্টার: মতলব উত্তর উপজেলার সুজাতপুর ভূমি অফিসের কর্মচারী কানিছ ফাতেমা চাকুরী নেওয়ার পর তিনি কোটিপতি বনে গেছেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ তিনি। জানা গেছে, গত ২০০২ সালে সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা ৮ম শ্রেণী পাশ দেখিয়ে এমএলএসএস পদে ভূমি অফিসে চাকুরী নেন ফাতেমা। অথচ ১৯৯৯ সালেই ইন্দুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে তিনি এসএসসি পাশ করেছেন। চাকুরী নেওয়ার জন্য তিনি এ তথ্য গোপন করেছিলেন। পরবর্তীতে পদোন্নতি পাওয়ার জন্য ২০০৫ সালে উন্মুক্ত বিশ^বিদ্যালয়ের অধীনে পুণরায় এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেন। জেনারেল ও উন্মুক্ত দুইবার এসএসসি পরীক্ষায় পাশ করেন ফাতেমা। ইন্দুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করলেও মতলব পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে তিনি ৮ম শ্রেণী সনদ নিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। তবে এ বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেছেন। সূত্র জানায়, চাকুরী নেওয়ার পর মাত্র ১৫ বছরেই তিনি কোটিপতি হয়েছেন! তার সংসারের আয়ের একমাত্র পথ তিনি। ফাতেমার স্বামী বেকার। কয়েকবছর আগে সুজাতপুর বাজার সংলগ্ন প্রায় ৩০ লাখ টাকা মূল্যের দুইটি জমি কিনেছেন তিনি। নিজ গ্রাম রায়পুর ইসলামাবাদেও তার নামে জমি কিনেছেন এবং নারায়নগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায়ও তার ২টি দোকান রয়েছে যার আনুমানিক মূল্য ৩০ লাখ টাকা, নগদ ব্যাংক ব্যালেন্স তো আছেই। এরমধ্যে আবার ঢাকায় ফ্যাট কেনার চিন্তাও করছেন তিনি। তার পরিবারে মাসে প্রায় ৩০-৪০ হাজার টাকা খরচ হয়। কিন্ত ফাতেমা বেতন পান মাত্র ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা (আনু.)। এত টাকা কোথায় পান এবং তিনি অল্প দিনে কিভাবে কোটিপতি হলেন এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ও বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে। জানা গেছে, ফাতেমা ভূমি অফিসে সেবা নিতে আসা লোকজনের সাথে নামজারি, খাজনা আদায় ও অন্যান্য কাজের ব্যাপারে অফিসের বাহিরে গিয়ে মোটা অংকের ঘুষ বাণিজ্য করেন। পরে অফিসে কাগজপত্র এনে কাজ করেন। তার এ ঘুষ বাণিজ্যই কোটি পতি হওয়ার একমাত্র পথ বলেও মনে করেন স্থানীয়রা। তার বিরুদ্ধে দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত করলে এসব অনিয়ম পাওয়া যাবে বলেও দাবী করেছে একটি মহল।এ বিষয়ে কানিজ ফাতেমা বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা। আমাকে হেও করার জন্য একটি মহল উঠে পড়ে লেগেছে। আমার সার্টিফিকেটের বিষয় সব ঠিক আছে। আমার কোন অনিয়ম নেই। এ ব্যাপারে সুজাতপুর ভূমি অফিসের দায়িত্বে থাকা সহকারি ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল মালেক বলেন, আমি এই অফিসে কিছুদিন আগে যোগদান করেছি। ফাতেমা এই অফিসে অফিস সহায়ক পদে চাকুরী করে। আমার জানামতে তার সবকিছু ঠিক আছে। তার বিরুদ্ধে অনিয়মের কোন অভিযোগ পাইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *