ধামরাইয়ে যত্রতত্র করে ফসলী জমিতে গড়ে তুলেছে অবৈধ ইটভাটা ; ইটভাটা বন্ধের প্রতিবাদে এলাকাবাসি
মোঃ আব্দুর রউফ,ধামরাই (ঢাকা): ঢাকার ধামরাইয়ে আইনের তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র করে ফসলী জমিতে গড়ে তুলেছে অবৈধ ইটভাটা। যার কারণে দিন দিন আমাদের ফসলের ঘাটতি দেখা দিতে শুরু করেছে বলে অভিমত বিশেজ্ঞদের। কারণ পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করে পরিবেশ অধিদপÍরের অনুমোদন ছাড়াই প্রায় ১২০টি ইটভাটায় ফলজ ও বনজ কাঠ পোড়ানোর মহাৎসবে মেতে উঠেছে ধামরাই ইটভাটা গুলি।
উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় তিন ফসলি জমিতে গড়ে তুলেছেন কাগজ পত্র হীন অবৈধ ইটভাটা। কারণ অধিকাংশ ইটভাটার মালিকেরা নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রসাশনকে ম্যানেজ করে গড়ে তুলেছেন অবৈধ ইটভাটা। আর এই অবৈধ ইটভাটা থেকে টাকার বিনিময়ে বৈধতা দিয়েছে ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির ধামরাই উপজেলার সদস্যরা।ইটভাটার মালিকেরা ভাটা প্রতি ২৫ হাজার টাকা নিয়ে অনুমতি দেয় বলে জানাগেছে। এবং লাইসেন্স বিহিন ইটভাটার মালিকের কাছ থেকে প্রায় ৫ লক্ষাধীক টাকা নিয়ে অনুমতি দেওয়া হয় বলে সুত্র জানায়। ফলে ইটভাটার মালিকেরা নিয়মনিতির তোয়াক্কা নাকরে যততত্র ভাবে গড়ে তুলেছে অবৈধ ইটভাটা।ধামরাই ইপজেলায় প্রায় ২০০টির ও বেশি ইটভাটা রয়েছে বলে সুত্র জানায়। আর এই সব ইটভাটা গুলি গড়ে তুলেছে বেশির ভাগ ফসলী জমির উপর। আর এসব ইটভাটার কারণে আশেপাশের বাড়ী ঘরে থাকা বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছ ও ফসলী জমিতে কোন ধরনের ফসল ও ফল হইচ্ছে না বলে এলাকাবাসির জানান। এবং মানুষের বিভিন্ন ধরনের রোগভালায় ঝেঁকে বসতে শুরু করেছে বলে দাবি তাদের। এর মধ্যে মানুষের শ্বাসের কষ্ঠে রোগটি বেশি ধারণ করেছে বলে অভিজ্ঞ ডাক্তারা ধারনা করছে। এছাড়া রাস্তার পাশ দিয়ে চলাফেরা করা যায়না কারণ মাটির ট্রাক দিয়ে মাটি নেওয়ার কারণে মাটি পড়ে রাস্তা, এতে ধুলো হয় যে রাস্তা দিয়ে মানুষ চলা চল করতে গেলে ধুলো দিয়ে সারা শরীর ডেকে যায়। যার কারনে মানুষের বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দিয়েছে।এতে করে জনস্ব্যাস্থ মারাতœক হুমকির মুখে পড়েছে।তথ্যানুসন্ধানে জানাগেছে ধামরাই উপজেলায় প্রায় ২০০টি ইটভাটা রয়েছে এর মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড় পত্র রয়েছে মাত্র ৭৭টিতে বাকি ইটভাটা গুলিতে কোন ছাড়পত্র নেই বলে জানাগেছে। তবে ইউনিয়ন পরিষদের টেড্রলাইসেন্স দিয়ে এই ইটভাটা গুলি চলছে বলে জানাগেছে।এছাড়া আর জানাযায় উপরের মহলকে ম্যানেজ করলেই মিলে ইটভাটার বৈধতা।প্রসাশনকে খুশি করার জন্য অবৈধ ইটভাটার মালিকেরা তাদের সাথে যোগাযোগ রাখছে বলে জনাগেছে।ইট প্রস্তুত ও ইটভাটা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে তারা পরিবেশের যে মারাতœক ক্ষতিসাধন করতেছে তা মানব জীবনের জন্য হুমকি স্বরুপ।পরিবেশ অধিদপ্তরের সুত্রে জানাগেছে ইট প্রস্তুত ও ইটভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন (২০১) ধারায় সম্পুর্ণ ভাবে উল্লেখ আছে যে, জেলা প্রশাসকের লাইসেন্স ব্যাতিত কোন ব্যাক্তি ইটভাটা প্রস্তুত করতে পারবে না। ঐ আইনে আর উল্লেখ করা আছে যে তিন কিলোমিটারের মধ্যে বাড়ী ঘর ও বসতি এলাকা ফলজ ও বনজ-বাগান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকলে ইটভাটা অনুমোদন হবে না। কিন্তু ধামরাই উপজেলায় সেই আইনের তোয়াক্কা না করে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ইটভাটা যেগুলি মানুষের বসতীয় বাড়ী ঘরের কাছে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ফলজ ও বনজ বাগানের নিকটে।এতে মানুষ ও ফসলের জমি হুমকির মুখে পড়েছে।এই সব ইটভাটার আধিকাংশই পরিবেশ আধিদপ্তরের ছাড় পত্র ও জেলা প্রসাশকের কোন লাই¯েœস নেই।ধামরাই উপজেলার ইটভাটার মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক মোঃ আব্দুর রশিদ জানান,সারা উপজেলায় প্রায় ২০০টি ইটভাটা রয়েছে তার মধ্যে বৈধ-কাগজ-পত্র রয়েছে মাত্র ৭০টিতে এবং প্রতিটি ইটভাটায় জমি লেগেছে প্রায় ৩৫বিগা করে।ইটভাটার কারনে দিন দিন কমে আসছে জমির পরিমান। এভাবে চলতে থাকলে আগামী ৬ বছরে ধামরাই উপজেলায় খাদ্য উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা হ্রাস পাবে বলে জানান কৃষি আফিসার মোঃ লুৎফর রহমান। এই ব্যাপারে আর জানা গেছে সরকারের ইটভাটা স্থাপনের আইন ২০১৩ আনুযায়ী নিষিদ্ব এলাকা (বিশেষ করে আবাসিকও সংরক্ষিত বানিজ্যিক এলাকা,পরিবেশ গত সংকটাপন্ন এলাকায় কৃষি,বনও বাগানকে বোঝানো হয়েছে)। এর পর ও ধামরাইতে নতুন করে আর প্রায় ৭০ টি ইটভাটা তৈরি করা হচ্ছে। এই দিকে কার ও কোন মাথা বেথা নেই। কারণ ইটভাটার মালিকরা ক্ষমতাশীল হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললে উল্টো তার বিরুদ্ধে মামলা হামলা দিয়ে হয়রানী করা হয়। যার কারণে কেউ কিছু বলেনা। এই ব্যাপারে প্রশাসনকে জানালে তারা ইটভাটার মালিকদের সাথে মিলে মোটা অংকের টাকা নিয়ে কিছু না বলে চলে আসে। এই অবস্থা চলতে থাকলে আগামীতে ধামরাইয়ে ফসল চাষ করার জন্য কোন জমি পাওয়া যাবেনা বলে ধারনা করছে এলাকার লোকজন।