সৈয়দপুরে মাদ্রাসা অধ্যক্ষের জন্মতারিখ জালিয়াতি “এগার বছর বয়সে দাখিল পাশ” ভূমিকাবিহীন মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও সংশ্লিষ্ঠ দপ্তর।
মোঃ মোতালেব হোসেন: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কারিগরী ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এর মাদ্রাসা শাখা-১ হতে প্রাপ্ত স্বারক নং-৫৭০০.০০০০.০৭৫.০১৬.৩৭.১৭/৩৮৯ তারিখ ১৭ ই ডিসেম্বর-২০১৭ ইং মোঃ আব্দুল খালেক মিয়া, সহকারী সচিব মাদ্রসা শাখা-১ স্বাক্ষরিত পত্র মোতাবেক ১৪ বছরের নিচে দাখিল বা এস,এস,সি পাশ করা যায় না মর্মে বিধান রয়েছে। কিন্তু অবিশ^াস্য হলেও সত্য সৈয়দপুর উপজেলাধীন সোনাখুলী মুন্সীপাড়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আ.ব.ম মনসুর আলীর চাকুরীতে বর্তমান প্রদত্ত দাখিল সনদ অনুযায়ী দাখিল পাশ করেন মাত্র ১১ বছর ১ মাস বয়সে এবং ১২ বছর ১ মাস বয়সে তিনি আলীম পাশ করেন। দাখিল সনদ অনুযায়ী তার জন্মতারিখ ১০/০১/১৯৬০ ইং আলীম সনদ অনুযায়ী তার জন্মতারিখ ০১/০২/১৯৬১ ইং। একজন মাদ্রসার অধ্যক্ষ হিসাবে তিনি এমনভাবে ছলচাতুরী করে তার জন্মতারিখ কমিয়েছেন যা একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসাবে অত্যন্ত লজ্জার বিষয়। চাকুরীকালিন সময়ে তার প্রদত্ত প্রথম এমপিও শীটের বয়স অনুযায়ী চাকুরীর বয়সসীমা অতিক্রান্ত হলে মাদ্রসার সভাপতি তাকে নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব হস্তান্তরের জন্য নির্দেশনা দিলেও তিনি তা না মেনে বর্তমানে সুচতুরভাবে তার বয়স কমিয়ে এইসকল সনদ তৈরী করে চাকুরীতে বহাল থাকার চেষ্টা করে চলেছেন এবং আরো জানা যায় তিনি নীলফামারী জেলার জামায়াতুল মুদাছছেরিন সংগঠনের সভাপতি বলে তিনি ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে বয়সসীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও চাকুরী করে চলেছেন বহাল তবিয়তে। ইতিপূর্বে ১৪ই জুলাই ২০১৭ ইং তারিখে জাতীয় দৈনিক কালের কন্ঠ পত্রিকায় তার ছয়টি জন্মতারিখ ও ছবিসহ খবর ছাপা হলেও তার বিরুদ্ধে কোনরুপ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় নাই। বর্তমানে তিনি চলমান সভাপতিকে বাদ দিয়ে জেলা প্রশাসকের দপ্তরে বেতন বিলের তদবির করে চলেছেন। বর্তমান জেলা প্রশাসক বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে তার বেতন বিল সই করেন নাই। এবং এ ব্যাপারে ২০১০ সালে অভিযোগকারী কাজী ময়নুল ইসলাম জানান আরবি বিশ^বিদ্যালয় মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডসহ সকল দপ্তরে তিনি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কিন্তু কোন প্রতিকার পাননি। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলেও ব্যবস্থা গ্রহণের পরিবর্তে টাকার বিনিময়ে তার ফাইল চাপিয়ে রাখা হয়। এ যেন ইঁদুর বিড়ালের খেলা চলছে। গোপন সূত্রে জানা যায় মাদ্রাসার টাকা লুটপাট করে তিনি ঢাকায় গিয়ে তদবির করে তার চাকুরী বহাল রেখেছেন।