নোয়াখালীর বানিজ্যিক কেন্দ্র চৌমুহনী বাজারসহ পৃথক দুটি বাজারের দোকানে অগ্নিকান্ডে কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি


নাজিম উদ্দিন মিলন, নোয়াখালী প্রতিনিধি: বৃহস্পতিবার রাতে নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় নরোত্তোমপুর ইউনিয়নে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে আগুনে ১০টি দোকানের মূল্যবান মালামাল পুড়ে অন্তত ৬০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী ক্ষতিগ্রস্থদের। জানাযায়, বৃহস্পতিবার রাতে কবিরহাট ফরাজি বাজারে ইসলাম মার্কেটে এই অগ্নিকান্ড ঘটে। স্থানীয়রা জানান হঠাৎ করে সন্ধার পর কাঁচা বাজারে শাহাদাতের তুলা গোডানে আগুল জ¦লতে দেখে স্থানীয় লোকজন। মুহুর্ত্তের মধ্যে আগুন আশ পাশে ছড়িয়ে পড়লে বাজারের লোকজন ফায়ার সার্ভিস খবর দিয়ে আগুন নিভাতে থাকে এবং ফায়ার সার্ভিস আসার আগে স্থানীয় লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। আগুন নিভানোর সময় পর্যন্ত ঐ স্থানে ১০টি দোকানের মূল্যবান মালামাল পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়। এ ঘটনায় নোয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত ষ্টেশান অফিসার মোঃ নুর নবী জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট হতে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানান। এসময় স্থানীয় ইউপি চেয়াম্যান এ কে এম সিরাজ উল্যাহ অগ্নিকান্ড স্থল পরিদর্শন করেন। এদিকে শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় চৌমুহনী রেল ষ্টেশানের পশ্চিম পাশের্^ আগুনে আটটি দোকান পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। জানাযায়, দুপুর দেড়টার দিকে রেল ষ্টেশান মসজিদে জুম্মার নামাজের শেষ দিকে মুসল্লিরা আগুন বের হয়ে আলমাস হোটেলের উত্তর পাশে আগুন দেখতে পায়। স্থানীয় লোকজন ও মুসল্লিরা আগুন নিভাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আগুন নিয়ন্ত্রনে না আসায় ফায়ার সার্ভিস খবর দেয় এবং চৌমুহনী ফায়ার সার্ভিসের গাড়ী এসে আগুন নিয়ন্ত্রন আনেন। আগুন নিয়ন্ত্রনে আসার আগ পর্যন্ত জয়দেব সেলুন, আশা হোমিও হল, একটি কম্পিউটার ও গেমস দোকান, একটি ষ্টেশনারী দোকান, একটি ক্রোকারিজ গোডান, দোনের সামনে তালা পার্কিং করা একটি মোটর সাইকেল এবং পরিত্যক্ত চারটি দোকন ঘরসহ দোকানের মুল্যবান মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে জানায় ভুক্তভোগি ব্যবসায়ী ইসমাইল। সে জানায় তাহার একটি ল্যাপটপ ও কম্পিউটারসহ আটটি গেমস মেশিন পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনের সুত্রপাত কেউ না বলতে পারলেও সবার ধারনা, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট হতে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *