দৌলতপুরে ধান ভাগাভাগি কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা ।
আহসান হাবিব লেলিন জেলা ব্যুরো চীফ, (কুষ্টিয়া) : কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলাই ধান কাটা নিয়ে কথা কাটকাটি নিয়ে জুয়েল রানা (২২) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার ৬ টার দিকে উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের মহিষকুণ্ডি সীমান্তের মাঠপাড়া এলাকায় এ হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত জুয়েল মহিষকুণ্ডি মাঠপাড়া এলাকার কৃষক কাইমুদ্দিনের ছেলে। পুলিশ ও স্হানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ধান ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে একই এলাকার জানবার আলীর ছেলে মজনু ধারাল হাসুয়া দিয়ে জুয়েলের গলায় সজোরে কোপ দেয়। আশঙ্কাজনক অবস্হায় তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। পরে ঘটনাস্হলে মৃতদেহ ফিরিয়ে আনা হয়। খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ রাতে ঘটনাস্হল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নেয়। এদিকে এলাকার বিক্ষুব্ধ লোকজন মজনুর বাড়িতে হানা দিয়ে তাকে না পেয়ে তার ছেলে রাকিবের (১৫) ওপর চড়াও হন। গুরুতর আহত রাকিবকে দৌলতপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্হানীয়রা জানান, নিহত জুয়েল ও তার হত্যাকারী মজনু ধান কাটা শ্রমিক। তাদের দুজনের মধ্যে এমনিতেই বেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। ঘটনার কিছু সময় আগে ধান মাড়াইয়ের কাজ চলছিল। ২০-২৫ জন শ্রমিক সে সময় কাজ করছিলেন। জুয়েল সেখানে কিছুটা দেরিতে উপস্হিত হন। এ কারণে মজনু তার ভাগে ধান কম দেয়ার কথা জানানোয় দুজনের তর্কযুদ্ধ বেধে যায়। নিহত জুয়েলের বৃদ্ধ পিতা কাইমুদ্দিন জানান, ধান খোলার পাশে নিজের বাড়ি থেকে মজনু হাসুয়া বের করে এনে আচমকা জুয়েলের গলায় কোপ দিয়ে পালিয়ে যায়। গায়ের চাদর দিয়ে হাসুয়াটি ঢেকে নিয়ে আসায় উপস্হিত কেউ কিছু বুঝে উঠতে পারেনি। দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ দারা খান পিপিএম বলেন, ‘ধান ভাগ করা নিয়ে মজনুর সাথে জুয়েলের প্রচণ্ড বাগবিতণ্ডা হয়। এ সময় মজনু ক্ষিপ্ত হয়ে হাসুয়া দিয়ে জুয়েলের গলায় কোপ দিলে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয় বলে স্হানীয় লোকজন জানাচ্ছেন।’ ওসি দারা খান জানান, ঘটনার পর থেকে মজনু পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়নুল আবেদীন রাতেই ঘটনাস্হল পরিদর্শন করেন।