পিরোজপুরের নামাজপুর উপজেলার মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওয়াক্ফ স্ট্রেটের সম্পত্তি বিক্রির অভিযোগ


পিরোজপুর প্রতিনিধি: পিরোজপুরে একজন মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে জাল জালিয়াতি করে ওয়াক্ফ স্ট্রেটের সম্পত্তি বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সদর উপজেলার নামাজপুর বাসিন্দা ফজলুর রহমান শেখ(ফজেল মহুরী) মৃত্যুর আগে তার সম্পত্তির প্রায় অর্ধেক মালিক পক্ষে মোতাওয়াল্লী নিযুক্ত করে ওয়াকফ্ স্ট্রেট এ দান করে যান। তার মৃত্যুরপর ৪ মেয়ের মধ্যে ১ মেয়ে সামছুননেছার পুত্র মাদ্রাসা শিক্ষক আনছার উদ্দিন শেখ ঐ ওয়াক্ফ স্ট্রেটের সম্পত্তি জালজালিয়াতি করে ভূয়া কাগজপত্র তৈরী করেন। মোজাম্মেল হক শেখের পুত্র এই আনছার উদ্দিন সেই সম্পত্তি থেকে পার্শবর্তি বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ থানার মধুরকাঠী বাসিন্দা আলিম উদ্দিন হাওলাদারের পুত্র দুলাল হাওলাদারের কাছে কিছু সম্পত্তি দলিল মূলে বিক্রি করেন। বিগত ৮জুন,২০০৮ সালে পিরোজপুর সদর উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে সেই ভূয়া কগজ পত্র দাখিল করে(১০১০নং)দলিল রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হয়। বেশ কিছুদিন পূর্বে আনছার উদ্দিন শেখ একই সম্পত্তি মানিক হাওলাদার নামে আর একজনের কাছ থেকে বিক্রির কথা বলে টাকা নিয়ে লা-পাত্তা হয়ে যান। আনছার উদ্দিন শেখের আপন খালাতো ভাই আঃ রাজ্জাক খান রাজু অভিযোগ করেন যে, আনছার উদ্দিন শেখ নানা বাড়ির সম্পত্তি ছলে বলে কৌশলে অন্য ওয়ারিশদের ঠকিয়ে একই সম্পত্তি ৩জনের কাছেও বিক্রি করে টাকা মেরে দিয়েছেন এমন বহু অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা ভুক্তভোগী বশির আহম্মেদ ও রমজান খান জানান, আনছারের কাছ থেকে টাকা দিয়ে যারা জমি কিনেছেন তারা কেউ ভোগ দখলে যেতে চাইলে মিথ্যা হয়রানীমূলক মামলা করার ভয় দেখান এবং এর আগে ঘরপোড়া মিথ্যা মামলা দিয়ে লোকজনকে হয়রানি করেছেন। এ ব্যাপারে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান আনছার একজন প্রতারক প্রকৃতির লোক। স্থানীয় গ্রাম পুলিশ আবু জাফর বলেন, আনছরের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। এ ব্যাপারে মাদ্রাসা শিক্ষক আনছার উদ্দিনের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদকে তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *