বৈরী আবহাওয়া সাপাহারে কৃষকের স্বপ্ন কেড়ে নিল


নাজমা বেগম,সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধ : চলতি মৌসুমে বরেন্দ্র অঞ্চল নওগাঁর সাপাহারের কৃষককুল আমন চাষাবদে বাম্পার ফলনের আশায় বুক বাধলেও হঠাৎ করে কার্তিক মাসের টানা দু’দিনের ঝড় বাতাসে ক্ষেতের ধান মাটির সাথে শুয়ে পড়ায় কৃষকের সে আশায় গুড়ে বালি ,ধান ক্ষেতের অবস্থা দেখে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষককুল এখন মার্মাহত ও সংঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
এবারের আবহাওয়া আমন চাষাবাদের অনুকুলে থাকায় এখনাকার কৃষকগন তাদের সর্বস্ব খুইয়ে আমন চাষাবাদ করেছিল। সে মতে কোন রকম আপদ বালাই ছাড়া ক্ষেতের ধান গাছগুলিও সুস্থ্যসবল আকিৃতির হয়ে সারা মাঠ ভরপুর হয়ে উঠেছিল। এবারের আমন ধান কৃষকের ঘরে উঠতে আর মাত্র ১৫/২০দিন বাকীঁ ধান। ধান ক্ষেতের চেহারা দেখে নবান্ন উৎসবের আনন্দে কৃষক যখন স্বপ্ন দেখছিল হঠাৎ সেমহুর্তে বৈরী আবহায়া কার্তিক মাসের ঝড়ে কৃষকের সে স্বপ্ন ভেঙ্গে লন্ড ভন্ড করে দিল। শনিবার সকালে এলাকার অসংখ্য ধানের মাঠ ঘুরে এই বেহাল অবস্থা চোখে পড়ে। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসের সাথে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এএফএম গোলাম ফারুক হোসেন জানান যে, এবারে সাপাহার উপজেলায় সর্বমোট ১৬হাজার ৫শ’হেঃ জমিতে আমন চাষাবাদ করা হয়েছে। অতিতের যে কোন বছরের চেয়ে এবারে কৃষকের মাঠের ধান গাছের অবস্থা ভাল। কোন রকম আপদ বালাই না হলে এবারে সাপাহার উপজেলায় আমন চাষাবদের বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছিল। উপজেলা কৃষি দপ্তর ও মনে করেছিল সামনে আর কয়েকটি দিন প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ কিংবা অনিষ্টকারী পোকামাকড়ের অত্যাচার হতে রেহায় পেলেই সাপাহারে এবার আমন চাষাবাদে বাম্পার ফলন পাওয়া যাবে যা অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারেও উপজেলার খাদ্য ঘাটতি মিটিয়ে দেশের অন্যত্র প্রচুর খাদ্য শস্য পাঠানো যাবে কিন্তু শেষ মহুর্তে এসে কার্তিক মাসের প্রাকৃতিক দুর্যোগ এই ঝড়ে কিছুটা হলেও কৃষকের ক্ষতি হয়েছে। কৃষি অফিসের এক জরিপে এই ঝড়ে উপজেলায় কৃষকের প্রায় ৫০হেঃক্টর জমির ধান হেলে মাটিতে শুয়ে পড়েছে তবে দু’এক দিনের মধ্যে প্রখর রোদ হলে আংশিক ধান গাছ সম্পূর্ন রুপে দাঁড়িয়ে যাবে। প্রথমে আবাদের অবস্থা দেখে ফলনের যে আশা করা যাচ্ছিল বর্তমানে তা কিছুটা হলেও হ্রাস পাবে। তবে উপজেলার একাধীক কৃষকের মতে ক্ষতির পরিমান আরো অনেক বেশী হবে তারা জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *