কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় লিজাকে হত্যা,আসামি ফরিদ শেখ ও জাকির শেখ দুজন গ্রেফতার
মোঃজামাল উদ্দিন,শরীয়তপুর প্রতিনিধি: গত ১৫ জুলাই শনিবার বিকেলে স্কুল ছুটির পর নিখোজ হওয়া লিজা আক্তার(১১)বাইসাইকেল নিয়ে বের হলে তাকে আর খুজে পায়নি স্বজনরা।নিখোজের আট দিন পরে লিজার লাশ পেলে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে।এতে লিজাকে নিয়ে ডাক্তারদের ময়নাতদন্তের তথ্য ভুল দেয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. এহসান শাহ। সোমবার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানিয়ে বলেন, লিজার লাশের ময়নাতদন্তকারী ডাক্তার সদর হাসপাতালের চিকিৎসক সাবরিনা খান ও এহসানুল হক সাংবাদিকদের দেয়া তথ্য ছিল ভুল। এ সম্পর্কে অভিজ্ঞতা নেই বলে তারা ভুল তথ্য প্রদান করেছেন।আমরা অভিজ্ঞ ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা জানিয়েছে মরদেহটি প্রায় সপ্তাহ ধরে কাদা পানিতে থাকার কারণে পচন ধরে লিজার জরায়ু, লিভার, ফুসফুস, কিডনি ও হৃদযন্ত্রসহ শরীরের গুরুপ্তপূর্ণ অঙ্গ পচে যেতে পারে। শরীরের নরম অংশগুলো শিয়াল, গুঁই সাপ ও কাদায় খেয়ে ফেলতে পারে এ পর্যন্ত আমাদের ধারণা।তিনি বলেন, গত ১৫ জুলাই শনিবার বিকেলে স্কুল ছুটির পর বাইসাইকেল নিয়ে বাড়ির সামনের রাস্তায় বের হয় লিজা আক্তার (১১)। লিজা নিখোঁজের পর পর আসামি ফরিদ শেখ (৪০) ও জাকির শেখ (৩০) অসৎ উদ্দেশ্য চারিতার্থ করার জন্য লিজাকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে জাকির শেখের মামা আলাউদ্দিন শেখের ঘরের ভেতর নিয়ে তাকে কুপ্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে রাজি না হলে লিজাকে জাকির দু’পায়ে চাপরে ধরে ও ফরিদ গলা টিপে হত্যা করে। পরে দুজনে মিলে লিজার মরদেহটি কাঁথা দিয়ে মুড়িয়ে ভ্যানে করে ওইদিন রাত ৮টার দিকে সখিপুর থানার ছৈয়ালকান্দি গ্রামের বুলবুল সরদারের পাট খেতের পানিতে ফেলে রেখে চলে যায়।আটদিন পর গত শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সখিপুর ইউনিয়নের ছৈয়ালকান্দি গ্রামের একটি পাট খেতের পানিতে লিজার মরদেহটি ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। সখিপুর থানায় খবর দিলে লিজার মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে লাশের ময়নাতদন্ত করার জন্য মরদেহটি শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।এ ঘটনায় গতকাল রোববার লিজার বাবা লেহাজ উদ্দিন শেখ বাদী হয়ে সখিপুর থানায় ফরিদ ও জাকিরের বিরুদ্ধেএকটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা অনুযায়ী রোববার বিকেলে ফরিদকে ও সোমবার সকালে জাকিরকে সখিপুর থানার সরদারকান্দি থেকে গ্রেফতার করা হয়।